ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনের সময় সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা নীতিমালা যাচাই বাছাই করা হবে। প্রয়োজনে সেই নীতিমালা সংশোধন করা হবে। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহার নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু সাংবাদিকদের প্রতিবাদের কারণে ওই উদ্যোগ কার্যকর হয়নি। কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠন হওয়ার পর তাদের কাছেও ভোট চলাকালে সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা না দেওয়ার অনুরোধ জানায় নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) । গত ১৩ মার্চ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় সংগঠনটির লিখিত প্রস্তাবে বলা হয়, ‘সাংবাদিকদের প্রধান বাহনই হচ্ছে মোটরসাইকেল। এ বাহন ছাড়া সাংবাদিকদের পক্ষে নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহ অসম্ভব হয়ে পড়বে।’ কিন্তু নির্বাচন কমিশন গতকাল জারি করা নীতিমালায় বলেছে, ‘সাংবাদিকদের যাতায়াতের জন্য যৌক্তিকসংখ্যক গাড়ির স্টিকার প্রদান করা হবে। তবে মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া যাবে না।’ কোনো নির্দেশনা পালন না করলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ও নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বলা হয়েছে। ইসির নীতিমালা প্রকাশের পর গতকাল বুধবার (১২ এপ্রিল) সেই নীতিমালা প্রত্যাখান করেছে আরএফইডি। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার মধ্যেই আজ কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সংবাদ সংগ্রহে ইসির প্রণীত নীতিমালা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই জানিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এটি নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এটি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছি। কোনো ডকুমেন্টই কিন্তু চিরস্থায়ী নয়। প্রয়োজনে সংযোজন-বিয়োজন করা হবে।
Discussion about this post