ঢাকা: গণ আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্টে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মীরা এর আগেই দেশ ত্যাগ করেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দুর্নীতি ও নানান অপকর্মের খবর শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে একে একে প্রকাশিত হতে থাকে। এরপর শুরু হয় তাদের গ্রেপ্তার করার মহড়া। কিন্তু যারা দেশত্যাগ করেননি বা করতে পারেননি তারা চলে যান আত্মগোপনে। এসব ঘটনাচক্রের মধ্যে গতকাল শনিবার (২৪ আগস্ট) গ্রেপ্তার হন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ও গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজী। রাজধানীর শান্তিনগরের বাসা থেকে দিবাগত রাতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে বলে জানা গেলেও তার নামে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। সেজন্য কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে তাও এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গোলাম দস্তগীর গাজী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ বিষয়ে আজ রোববার (২৫ আগস্ট) সকালে পল্টন থানার ওসি মোল্লা মো. খালিদ হোসেন বলেন, ‘শান্তিনগরের একটি বাসা থেকে সাবেক পাটমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে তার সমন্ধির বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন। ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে শনিবার রাতে সেখান থেকে গ্রেপ্তার করে। তিনি এখন ডিবি কার্যালয়ে আছেন। ’ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নব কিশলয় হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র রোমান মিয়া (১৭) নিহতের ঘটনায় গত বুধবার (২১ আগস্ট) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানায় শেখ হাসিনা ও গোলাম দস্তগীর গাজীসহ ১০৫ জনের নামে হত্যা করেন রোমানের খালা রিনা। সেই মামলার বাদী জানান, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের খবরে ছাত্র-জনতার আনন্দ মিছিল চলাকালে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পিস্তল, আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রূপগঞ্জের চনপাড়া এলাকার জনকল্যাণ স্কুলের সামনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হয় রোমান মিয়া। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পূর্বগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি তাকে। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
Discussion about this post