নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কুমড়ি গ্রামের সন্ত্রাসী সোহেল খানকে (৪০) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে লোহাগড়ার পূর্বদিঘলিয়া গ্রামে শ্বশুরবাড়ির সামনে তাকে হত্যা করা হয়। সোহেল কুমড়ি গ্রামের বদির খান ওরফে কানা বদির ছেলে। তার মাথা, পিঠ, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে সোহেল স্ত্রীসহ তার শ্বশুরবাড়ির উঠানে বসে গল্প করছিলেন। বাড়ির পাশে হঠাৎ শব্দ পেয়ে সেদিকে যান তিনি। এ সময় পাঁচ থেকে সাতজন লোক সোহেলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানার (২৭) চিৎকারে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। রাজিয়া ঠেকাতে গিয়ে ডান হাতের কনুই ও একটি আঙ্গুলে সামান্য আহত হন। তবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কে বা কারা জড়িত এবং কাউকে চিনতে পারেন কিনা, এ বিষয়ে মুখ খোলেননি সোহেলের স্ত্রী। তাদের এক ছেলে (৫) এবং মেয়ে (৩) রয়েছে। লোহাগড়া থানার ওসি শেখ আবু হেনা মিলন বলেন, সোহেল খান পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তার নামে চারটি হত্যা ও অস্ত্রসহ ১৩টি মামলা রয়েছে। তিনি এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকালাপের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। নড়াইল সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় পিপিএম (বার) বলেন, তিনটি বিষয় সামনে রেখে সোহেল হত্যাকাণ্ড তদন্ত করা হচ্ছে। এর মধ্যে সোহেলের একাধিক মামলার বাদীপক্ষ সংশ্লিষ্ট কিনা, বর্তমানে তার সঙ্গে যাদের শত্রুতা এবং পারিবারিক দ্বন্দ্ব আছে কিনা। এসব বিষয় প্রধান্য দেয়া হচ্ছে।
Discussion about this post