ঢাকা: মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, জাতীয় সংসদের উপনেতা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে সর্বস্তরের মানুষ। সোমবার (১২সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ শহীদ মিনারে নিয়ে আসা হয়। এসময় সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গসহ সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ১৪ দল ও ওয়ার্কাস পার্টির পক্ষে রাশেদ খান মেনন, জাসদের সহ-সভাপতি শফিউদ্দিন মোল্লার নেতৃত্বে জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, গণ আজাদী লীগের নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন নিখিল, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মেজবাহুল হক সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক, মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগ, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগ সহ ঢাকা মহানগরের আআওয়ামী লীগের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড কমিটির নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। এর আগে, ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু। এর আগে রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ১১টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। ১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুরা জেলায় মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। ১৯৫৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ১৯৬৯-১৯৭৫ সময়কালে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
Discussion about this post