শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুর সীমান্তে আরও এক বন্যহাতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী সীমান্তের আঠারোঝোড়া এলাকা থেকে ওই হাতির মৃতদেহটি উদ্ধার করে বনবিভাগ। এ নিয়ে গত ৪ মাসের ব্যবধানে শেরপুর সীমান্তে ৩টি বন্যহাতির মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটলো। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বনবিভাগের ঝিনাইগাতীর গজনী বিট কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঝিনাইগাতী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) জয়নাল আবেদীন, শেরপুরের সহকারী বন সংরক্ষক আবু ইউসুফসহ অন্যান্যরা। এর আগে গত ৯ নবেম্বর শ্রীবরদী সীমান্তের মালাকোচা এলাকায় এবং ১৯ নবেচম্বর নালিতাবাড়ী সীমান্তের পানিহাতা এলাকার মায়াঘাঁসি গ্রাম থেকে ২টি বন্যহাতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিলো। এর মধ্যে মালাকুচা এলাকায় উদ্ধার হওয়া হাতির মৃত্যু বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসায় ওই ঘটনায় ৪ জনকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে বনবিভাগ। ওই মামলায় ৪ আসামিই বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।বনবিভাগ সূত্র জানায়, শনিবার সকালে ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী হালচাটি গ্রাম থেকে ২ কিলোমিটার পশ্চিমে ভারত সীমান্ত সংলগ্ন আঠারোঝোড়া এলাকায় বন্যহাতির মৃতদেহটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় কৃষকরা। পরে তারা বিষয়টি বনবিভাগকে জানালে তারা সেটি উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত হাতিটি মাদি। হাতিটির বয়স আনুমানিক ১০/১১ বছর হবে। হাতিটির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত শেষে দুপুরে হাতির মৃতদেহটি গর্ত করে মাটিচাপা দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন জানান, হাতিটি সম্ভবত একদিন আগে মারা গেছে। আমরা ধারণা করছি, হাতিটি ফুড পয়জনিংয়ে মারা গেছে। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে খাদ্যের সন্ধানে পাহাড় থেকে বন্যহাতির দল ঝিনাইগাতী নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার লোকালয়ে নেমে আসছে। অনেকের বাড়িঘরে হানা দিয়ে গোলার ধান, চাল, বিভিন্ন গাছের ছাল খেয়ে সাবাড় করছে। স্থানীয় অধিবাসীরা বন্যহাতির কবল থেকে গোলার ধান, আবাদ-ফসল রক্ষায় চেষ্টা করছেন। এদিকে, শেরপুরের গারো পাহাড়ে একেরপর এক হাতির মৃত্যু ও হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্রকৃতি ও পরিবেশবাদী সংগঠন ‘সবুজ আন্দোলন’।
Discussion about this post