বিনোদন ডেস্ক: হবিগঞ্জের এক শিক্ষকের কাছ থেকে একটি মাইক্রোবাস উপহার পেয়েছেন হিরো আলম। যদিও সেই গাড়ি নিয়ে নানা বিপদ তার সামনে। গাড়ির কাগজপত্র ঠিক নেই। এছাড়া ১০ বছরের ট্যাক্স বাকি চার লাখ টাকারও বেশি। এত বিপদ থাকার পরও গাড়িটি তার মালিককে ফেরত দেবেন না হিরো আলম। বরং এই গাড়ি ঠিক করে অ্যাম্বুলেন্স বানিয়ে শুরু করবেন তার হিরো আলম ফাউন্ডেশনে কাজ। উপহারের গাড়ি ফেরত না দেওয়ার কারণ জানিয়ে হিরো আলম বলেন, ‘গাড়িটির কাগজপত্র নিয়ে যত জটিলতাই হোক, উপহারের গাড়ি ফেরত দিব না। এটা করলে ওই শিক্ষককে অপমান ও ছোট করা হবে। গাড়িটি অ্যাম্বুলেন্স বানিয়ে গরিব মানুষের সেবায় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছি, এখন গাড়িটি বৈধভাবে রাস্তায় চলাচল উপযোগী করতে যা অর্থ লাগে, তা খরচ করতে রাজি আছি।’ হিরো আলম এও বলেন, ‘যেহেতু গাড়িটি অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হবে, তাই বকেয়া ট্যাক্স মওকুফ চেয়ে বিআরটিএতে আবেদন করব। দুই-এক দিনের মধ্যে কোনোরকমে গাড়িটি বগুড়ায় ওয়ার্কশপে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স বানানোর কাজ শুরু করব। এর মাধ্যমে শুরু হবে হিরো আলম ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম।’ তিনি যে ফাউন্ডেশন করছেন, তা বুধবার ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে জানিয়েছিলেন। হিরো আলম লেখেন, ‘চেয়েছিলাম এমপি হয়ে মানুষের সহযোগিতা করব। কিন্তু সেটা তো আর হলো না। তাই মানব সেবায় নিজের অর্থায়নে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আপনারা চাইলে এই মানবতার ফেরিওয়ালা হিরো আলমের সাথে এক হতে পারেন। সহযোগিতা করতে পারেন।’ হ্যাশট্যাগে লেখেন, ‘Hero alom Foundation হিরো আলম ফাউন্ডেশন।’ এই নামে ফেসবুকে একটি পেজও খুলেছেন স্বঘোষিত এই হিরো। গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচন। এই দুই আসনেই একতারা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন হিরো আলম। এর মধ্যে সদর আসনে বড় ব্যবধানে হেরে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয় এবং বগুড়া-৪ আসনে হারেন মাত্র ৮৩৪ ভোটে। এই উপনির্বাচনের আগের দিন হবিগঞ্জের চুনারুহাটের শিক্ষক মখলেছুর রহমান ফেসবুক লাইভে এসে হিরো আলমকে তার ব্যবহৃত নোহা মাইক্রোবাসটি উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন। নরপতি গ্রামের ওই শিক্ষক ফেসবুকে বলেন, হিরো আলম বগুড়ার মানুষের মন জয় করেছেন। নির্বাচনে ফল যেটাই আসুক, সিলেট বিভাগের পক্ষ থেকে তিনি তার গাড়িটি হিরো আলমকে উপহার দিতে চান। প্রথমে গাড়ি উপহারের বিষয়টি হিরো আলম গুরুত্ব না দিলে শিক্ষক মখলেছুর রহমান আরেকটি লাইভ করেন। এরপরই তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন হিরো আলম। তারপর মঙ্গলবার উপহারের গাড়ি আনতে চুনারুঘাট যান হিরো আলম। গাড়িটি আনতে হবিগঞ্জ যাওয়ার পথে তাকে নির্ধারিত গতির চেয়ে বেশি গতিতে নিজের গাড়ি চালানোর জন্য জরিমানাও গুণতে হয়।
Discussion about this post