নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সন্ত্রাসীদের গুলিতে শিশু তাসফিয়া আক্তার জান্নাত (৪) নিহতের ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রের যোগানদাতা সাকায়েত উল্যাহ জুয়েলকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি কিরিছ, একটি রামদা, একটি পাইপগান, দুটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার সকালে গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার সাকায়েত উল্যাহ জুয়েল বেগমগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নে লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের হাবিব উল্যার ছেলে। পুলিশ জানায়, শিশু তাসফিয়া হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া প্রধান আসামি মামুন উদ্দিন রিমনের দেওয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রের যোগানদাতা সাকায়েত উল্যাহ জুয়েলকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে ডিবি পুলিশ। অভিযানকালে শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দূর্গাপুর এলাকার সোলাইমানের একটি পরিত্যক্ত বসত ঘর থেকে দুটি কিরিছ ও একটি রামদাসহ গ্রেপ্তার করা হয় জুয়েলকে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই মামলায় পলাতক আসামি বাদশার বসতঘরের খাটের নিচে লুকানো অবস্থায় একটি পাইপগান ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. সবজেল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তার আসামি জুয়েলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যহত রয়েছে। গত ১৩ এপ্রিল নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হাজীপুর ইউনিয়নের মালেকা বাপের দোকান এলাকায় তাসফিয়া হত্যাকাণ্ড হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহতের খালু হুমায়ুন কবির বাদি হয়ে বাদশা, রিমনসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলায় এ পর্যন্ত নয়জন এজাহারভুক্ত ও একজন অস্ত্রের যোগানদাতা আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মামলাটি বর্তমানে ডিবিতে তদন্তাধীন রয়েছে। হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তার প্রধান আসামি রিমন। রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে সোহেল উদ্দিন, সুজন, নাইমুল ইসলাম এবং আকবর হোসেনের।
Discussion about this post