ঢাকা: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার পর এ ঘটনা ঘটে।হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মো. মাসুদুল হাসান মাসুদ জানান, কার্গো সেকশনের পাশে একটি অংশে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিস, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী এবং বিমানবন্দরের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্য কর্মকর্তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। ফ্লাইট ওঠানামা সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সের স্কাই ক্যাপিটাল লাউঞ্জ থেকে আগুনের সূত্রপাত। ক্যাপিটাল লাউঞ্জ বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটের প্রবেশ পথের পাশেই অবস্থিত। শুরুতে আগুনের ধোঁয়া দেখা গেলে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীন ফায়ার স্টেশন আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু করে। কার্গো কমপ্লেক্সে অতিরিক্ত দাহ্য পদার্থ থাকায় মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ধাপে ধাপে যোগ হতে থাকে অতিরিক্ত ইউনিট ও টিটিএল গাড়ি। কিন্তু আগুনের বিস্তার ঠেকানো যায়নি। দাউ দাউ করে পুরো কার্গো কমপ্লেক্সে জ্বলতে থাকে আগুন। ঘটনাস্থলে আনা হয় অ্যাম্বুলেন্স। কয়েকজনকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতে দেখা গেছে। কার্গো কমপ্লেক্সের কর্মীরা দাবি করেছেন, কেমিক্যাল থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।কুরিয়ার কোম্পানি তামিম এক্সপ্রেস লিমিটেডের পরিচালক সুলতান আহমেদ বলেন, শনিবার হাফ শিপটিং কার্যক্রম চলে কার্গো কমপ্লেক্সে। সকাল ৯টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত খোলা ছিল। আমাদের কোম্পানির আড়াইটন মাল নেমেছে আজ। সব পুড়ে গেছে নিশ্চিত। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব গার্মেন্টস আইটেম মাল ছিলো। বাটন, জিপার ফেব্রিকস ও বিভিন্ন লেভেল আইটেম।কুরিয়ারের মাস্টার ইয়ার কোম্পানির সিএনএফ এজেন্ট মো. রোকন মিয়া বলেন, প্রতিদিন টান টন মাল কার্গো হয়ে আসে। এই ঘটনায় বিশাল ক্ষতির মুখে পড়বে ব্যবসায়ীরা। তিনি আরও বলেন, স্কাই লাউঞ্জে কেমিক্যাল, ফেব্রিক, মেশিনারিজসহ সব ধরনের মালামাল রাখা হয়। আমাদের ধারণা কেমিক্যাল থেকেই আগুন লেগেছে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।
Discussion about this post