আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তিউনিসিয়া সীমান্তের কাছে লিবিয়ার মরুভূমিতে অন্তত ২৭ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ পাওয়া গেছে। গত ৭ আগস্ট গভীর রাতে সীমান্তের কাছ থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয় বলে বৃহস্পতিবার লিবিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহত অভিবাসীদের তিউনিসিয়া থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল। তারা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিক। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিউনিসিয়া থেকে লিবিয়া সীমান্তের দিকে যাওয়ার সময় তাদের সেখান থেকে বিতাড়িত করা হয়। এরপর তিউনিসিয়ার সীমান্তবর্তী মরুভূমিতে অন্তত ২৭ জনের মরদেহ পাওয়া যায়। লিবিয়ার কর্তৃপক্ষ এ কথা জানিয়েছে। লিবিয়ার সীমান্তরক্ষীরা মরুভূমির দক্ষিণে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এসব মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছে। এখানে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করছে। ফলে সেখানে অত্যন্ত গরম বিরাজ করছে। উদ্ধার হওয়া উদ্বাস্তু এবং অভিবাসীরা বলেছেন, তারা পানি, খাবার বা আশ্রয় ছাড়াই কয়েকদিন ধরে হাঁটতে বাধ্য হয়েছেন। লিবিয়ার সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো অত্যন্ত গরমের মধ্যে প্রতিকূল পরিবেশে শরণার্থী এবং অভিবাসীদের ঠেলে দেওয়ার দায়ে তিউনিসিয়াকে অভিযুক্ত করেছে। এ ছাড়া তিউনিসিয়ার এই পদক্ষেপকে ‘সম্মিলিত বহিষ্কার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। গত জুলাই মাস থেকে কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান অভিবাসী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের বের করে দিতে শুরু করে উত্তর আফ্রিকার এই দেশটি। লিবিয়ার সীমান্তরক্ষীরা জানিয়েছেন, তিউনিসিয়া থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর প্রতিদিন গড়ে ১৫০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী লিবিয়ায় প্রবেশ করে। তবে আফ্রিকান অভিবাসীদের বহিষ্কারের সব অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে তিউনিসিয়া।
Discussion about this post