ঢাকা: রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকতে ফ্রান্সের আগ্রহের কথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানের জন্য ‘সিরিয়াসলি’ বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছে ফ্রান্স। এই সংকটের যাতে সল্যুয়েশনটা হয় সেজন্য জাতিংসংঘের স্থায়ী সদস্য হিসেবেও ভূমিকা রাখবে বলে আশ্বাস দিয়েছে ফ্রান্স। প্যারিস সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী জিন ক্যাসট্যাক্সসহ ফ্রান্সের শীর্ষ কয়েকজনসহ (Jean Castex) উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক বিষয়ে ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যুটি গুরুত্ব পেয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ফ্রান্স যথেষ্ট আগ্রহ দেখিয়েছে এবং ফ্রান্সও বিশ্বাস করে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়া উচিত। রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে তারা তাদের স্বদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য। রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে বাংলাদেশ ফ্রান্সের সাহায্য চেয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে অধিকতর ভালো ভবিষ্যতের জন্য রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়া উচিত। বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উপায়ে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের চেষ্টা করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানের জন্য আমরা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছি। আমরা দ্বিপাক্ষিকভাবে চেষ্টা করেছি, ত্রিপাক্ষিক-বহুপাক্ষিকভাবে চেষ্টা করেছি। আমরা এমনকি আইসিজেতে গিয়েছি সমস্যাটা মিয়ানমার তৈরি করেছে, সল্যুয়েশনটাও মিয়ানমারে। বর্তমানে মিয়ানমারে ক্ষমতায় থাকা দখলদার সামরিক বাহিনীর নতুন সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের কোন ডায়ালগ হয়নি বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বলেছি গত ৪ বছরে রাখাইন প্রদেশে কোন ধরনের সংঘাত হয়নি। সুতরাং এটি উপযুক্ত সময়। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের আলোচনায় ঢাকা-প্যারিস সম্পর্ককে ‘নতুন উচ্চতায়’ নিতে সম্মত হন তিন নেতা। ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, পররাষ্ট্র সচিব, বিমান সচিব এবং ইআরডি সচিব উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post