আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারিয়ে বন্দি হওয়া মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির দল এনএলডি রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার বিচারে তাদের আপত্তি প্রত্যাহার করার কথা জানিয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাটির বিচারে তাদের আপত্তি না থাকার কথা বলেছে সু চির দলের এমপি আর কর্মীদের নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যের ছায়া সরকার (এনইউজি)। রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া মামলাটি করেছিল। ২০১৯ সালের ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে আইসিজেতে এ মামলার ওপর প্রাথমিক শুনানি হয়। সেসময় মিয়ানমারের পক্ষে শুনানিতে লড়ে দেশটির নেত্রী অং সান সুচি মামলার বিচারে আইসিজের এখতিয়ার নিয়ে আপত্তি জানান। তবে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো এনএলডির নেত্রী এখন বন্দি। মঙ্গলবার এই মামলার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে সু চির দলের তোলা এই প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা বলেছে এনজিইউ। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, মামলাটির বিচারে আগের অবস্থান থেকে তারা সরে এসেছে। মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে দেশটির সামরিক বাহিনীর হাতে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করেছিলেন ‘গণতন্ত্রকামী’ নেত্রী অং সান সু চি। এ নিয়ে নোবেলজয়ী সু চি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সমালোচিত হন। বিবৃতিতে এনইউজি এখন আইসিজের আহ্বান জানিয়ে বলেছে, তারা যেন জাতিসংঘে মিয়ানমারের স্থায়ী প্রতিনিধি কিয়াও মোয়ে তুনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে। সেনা অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে ক্ষমতার পালাবদল হলেও কিয়াও সামরিক জান্তার পক্ষে না থাকার ঘোষণা দিয়ে এনইউজিকে সমর্থন দিয়ে আসছেন। তবে রোহিঙ্গা গণহগত্যার বিচারে এনইউজির এই বিবৃতি আইজেসির আইনি প্রক্রিয়ায় আদৌ কোনো প্রভাব ফেলবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আইসিজের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
Discussion about this post