ঢাকা: রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে বিএনপি সংবিধান পরিবর্তনে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, বর্তমান সংবিধানে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। শুক্রবার দুপুরে ডিআরইউতে এগ্রিকালচারিস্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ১৯৭২ সালে প্রণয়ন করা বাংলাদেশের সংবিধান পুরোপুরি বাতিল করে নতুন সংবিধান প্রণয়নের প্রস্তাব দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু। বলেন, একদলীয় লোকেরা এই সংবিধান তৈরি করেছেন। আওয়ামী লীগের বাইরে মাত্র দুজন সদস্য সংবিধান প্রণয়ন কমিটিতে ছিলেন। তারা কেউই সেই সংবিধানে স্বাক্ষর করেননি। তাই এটি একনায়কদের সংবিধান। এসময় তার প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, যারা সংবিধান তৈরি করেছেন, তাদের সংবিধান তৈরি করার কোনো অধিকার ছিল না। বর্তমানে দেশে তীব্র প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে বলে মন্তব্য করে দলটির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, সরকার পরিবর্তন ছাড়া দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব না। তিনি বলেন, বিএনপির প্রস্তাবে আছে দুবারের বেশি কেউ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। এই প্রস্তাবটিতে দুবারের বেশি কেউ মন্ত্রী ও এমপি হতে পারবেন না প্রস্তাবে এটিও যুক্ত করার আহ্বান জানান তিনি। সাধারণ মানুষের ওপর সরকারের অত্যাচার ও নির্যাতনের মাত্রা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে দাবি করে তিনি বলেন, দেশের মানুষ ভালো নেই। দেশের মানুষকে স্বস্তি দিতে বিএনপি ক্ষমতায় যাবে, কিন্তু এর আগে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। অনুষ্ঠানে এ্যাবের আহ্বায়ক রশিদুল হাসান হারুনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হেসেন, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডী, কৃষিবিদ সানোয়ার আলম প্রমুখ।
Discussion about this post