আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কিয়েভের দখলে থাকা লুহানস্ক প্রদেশের শেষ শহর সিভিয়ারোদোনেৎস্কের উপকণ্ঠে ইউক্রেনীয় এবং রাশিয়ান বাহিনীর লড়াইয়ের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ২৭ দেশে রাশিয়ার ৯০ শতাংশ তেল আমদানি নিষিদ্ধ করতে সম্মত হয়েছেন। সোমবার তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই দেশটির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইইউ ব্লকের অন্তর্ভুক্ত অধিকাংশ দেশ। ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি চার্লস মিশেল বলেছেন, ব্রাসেলসে ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে নেতারা রাশিয়া থেকে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি তেল আমদানি নিষেধাজ্ঞা দিতে সম্মত হয়েছেন। এর ফলে যুদ্ধে রাশিয়া যে অর্থ ব্যয় করছে তার বিশাল একটি উৎস বন্ধ হবে। সম্মেলনে নেতারা বলেন, তারা এই বছরের শেষ নাগাদ রাশিয়া থেকে তেল আমদানির ৯০ শতাংশ কমাতে সম্মত হয়েছেন। তবে ল্যান্ডলকড দেশ হওয়ায় হাঙ্গেরির জন্য ছাড় থাকবে। কারণ পাইপলাইনের মাধ্যমে আসা রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের ওপর দেশটি বৃহদাংশে নির্ভরশীল। ইউরোপের দেশগুলো রাশিয়া থেকে যে তেল আমদানি করে তার দুই-তৃতীয়াংশ আসে সমুদ্রপথে। তাই আপাতত সমু্রে পথে রাশিয়ার তেল আমদানি নিষিদ্ধ করলেও পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল আনা আপাতত বন্ধ হচ্ছে না। মিশেল আরো বলেন, ইইউ নেতারা বৃহত্তম রাশিয়ান ব্যাংক সাবারব্যাঙ্ককে সুইফট সিস্টেম থেকে বিচ্ছিন্ন করতে এবং আরও তিনটি রাশিয়ান রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সম্প্রচারকারীকে নিষিদ্ধ করতে সম্মত হয়েছেন। ইউক্রেনের পূর্ব দনবাস অঞ্চলে রাশিয়ার আক্রমণ জোরালো করার সময় এই ঘোষণা আসে। সেখানের পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন বলেও জানিয়েছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
Discussion about this post