আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সম্ভাব্য শান্তি চুক্তিতে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর আকারে কোনো সীমা আরোপ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি রাশিয়ার এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।সোমবার (১৯ আগস্ট) ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ম্যাক্রোঁ এ মন্তব্য করেন। ওই বৈঠকে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, ইউরোপের কয়েকজন নেতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে অংশ নেন। চলতি বছরের শুরুতে মস্কো আবারও জানায়, শান্তির শর্তগুলোর মধ্যে ইউক্রেনের নিরপেক্ষতা এবং ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর আকারে আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক সীমা থাকতে হবে। কিয়েভ এ দাবি অগ্রহণযোগ্য বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।ম্যাক্রোঁ বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোর উচিত ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নেতৃত্ব প্রদান করা এবং তাদের সেনাবাহিনীকে প্রয়োজনীয় অস্ত্রসজ্জায় সজ্জিত করা।ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘প্রথম এবং প্রধান নিরাপত্তা নিশ্চয়তা হচ্ছে একটি শক্তিশালী ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী, যা যেকোনো হামলার প্রচেষ্টা প্রতিহত করতে সক্ষম।’ তিনি আরও জানান, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীতে “কয়েক লাখ সেনা” থাকা উচিত এবং এ বাহিনীর আকারের ওপর “কোনো সীমাবদ্ধতা আরোপ করা উচিত নয়।” চলমান সেনা মোতায়েন অভিযানেও ইউক্রেন সেনাবাহিনীর নতুন সদস্য সংগ্রহে সমস্যা দেখা দিয়েছে, এদিকে রাশিয়া ধীরে ধীরে নতুন ভূখণ্ড দখল করে নিচ্ছে।ইউক্রেন দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিমা দেশগুলোকে ন্যাটোর সমষ্টিগত প্রতিরক্ষা নীতির মতো নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছে—যা পূর্ণ সদস্যপদের বিকল্প হতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এমন প্রস্তাব ইতোমধ্যেই নাকচ করেছে।সোমবার ট্রাম্প বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কিয়েভের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তায় সম্মত হয়েছেন, তবে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।গত শুক্রবার আলাস্কায় দুই নেতার সাক্ষাৎ হয়, উভয় পক্ষই এটিকে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি প্রতিষ্ঠার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছে।মস্কো বহুবার বলেছে, তারা ইউক্রেনে কোনো পশ্চিমা সেনার উপস্থিতি মেনে নেবে না— এমনকি শান্তিরক্ষীর ছদ্মবেশেও নয়। পাশাপাশি তারা জোর দিয়ে বলেছে, কিয়েভকে অবশ্যই ন্যাটোতে যোগদানের পরিকল্পনা ত্যাগ করতে হবে। পুতিন আরও সতর্ক করেছেন যে, ইউক্রেন সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির সুযোগ নিয়ে পুনরায় সংগঠিত হয়ে অস্ত্র সংগ্রহ করতে পারে।
Discussion about this post