রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ১ম বর্ষে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের বিভিন্ন বিভাগে ৯০টি আসন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে রাবি শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। সোমবার সকাল ১০টায় সংগঠনটির আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল এবং সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান। আসন কমানোর সিদ্ধান্ত শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণকে শক্তিশালী করবে উল্লেখ করে বিবৃতিতে তারা বলেন, উচ্চশিক্ষার সংকোচনের মাধ্যমে সর্বজনীন শিক্ষার অধিকার বিরোধী অবস্থান নিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। বাংলাদেশে শিক্ষার্থী অনুপাতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ অনেক কম। এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নতুন করে বহু শিক্ষার্থীকে উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হবে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে বাধ্য করা হবে। প্রশাসন আসন কমিয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নের আড়ালে ইউজিসির কৌশলপত্র বাস্তবায়ন করছে মন্তব্য করে তারা বলেন, সাম্রাজ্যবাদী প্রতিষ্ঠান বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে ইউজিসির কৌশলপত্র এ দেশের উচ্চশিক্ষা ধ্বংসের নীল নকশা। যার আওতায় প্রতিনিয়ত বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষার ব্যয় বৃদ্ধি, আসন সংকোচন, বরাদ্দ কমিয়ে আনা, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বাণিজ্যিক রূপ প্রদানসহ উচ্চশিক্ষার দর্শন গত জায়গা থেকে সরে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে।” বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রশাসন ঢাল হিসেবে হলগুলোতে আবাসন সংকটকে উল্লেখ করেছে। অথচ হলগুলোতে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের দখলদারিত্ব ও সিট বাণিজ্য দমনে প্রশাসনকে কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। বরং তাদের প্রশ্রয় ও পৃষ্ঠপোষকতা নিয়েই ক্যাম্পাসে এ ধরনের অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। যা প্রমাণ করে শিক্ষার্থীদের যন্ত্রণা লাঘবে এই মুহূর্তে প্রশাসনের কোন ভাবনা নেই।” শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন ও প্রয়োজনীয় উপকরণ নিশ্চিতকরণ কেবলমাত্র বরাদ্দ বাড়িয়ে অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে সম্ভব। শিক্ষা সংকোচন কোনোক্রমেই এ সমস্যার সমাধান হতে পারে না। বিবৃতিতে তারা ১৯৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৮৩ এর ছাত্র প্রতিরোধে ইতিহাসকে তুলে ধরে বলেন, অতীতে শিক্ষার্থীরা বারবার আন্দোলনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের শিক্ষা সংকোচনের ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে। বর্তমানের সূক্ষ্ম ও কৌশলী ষড়যন্ত্রও ছাত্ররা রুখে দেবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবিলম্বে সিট কমানোর গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।
Discussion about this post