পটুয়াখালী প্রতিনিধি: যৌক্তিক সংস্কার ছাড়া বাংলাদেশে নির্বাচন হতে দেওয়া যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। তিনি বলেছেন, প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সংস্কার ছাড়া বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হওয়া উচিত নয়, হতে দেওয়া যাবে না। আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন। আগে স্থানীয় নির্বাচন, পরে জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত। আজ শনিবার (৩ মে) বিকেলে শহরের চৌরাস্তা এলাকায় ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন পটুয়াখালী জেলা শাখা আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে চরমোনাই পীর বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেন, যারা আজ নির্বাচন চাচ্ছেন, আমি তাদের প্রশ্ন করেছিলাম নির্বাচনের পর ক্ষমতায় গিয়ে কী করবেন? যারা নিজেদের দলীয় লোক, নেতাকর্মী, সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না, তারা রাষ্ট্র চালাবেন কীভাবে? আগে নিজেকে গোছান, তারপর নির্বাচনের কথা বলুন। ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, গত ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের সময় আমরা দেখেছি দেশে অশান্তি তৈরি হয়েছে, মায়ের কান্না থামেনি, রাজপথ হয়েছে রক্তাক্ত। হাজার হাজার মানুষ আহত, কেউ দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে, কেউ হয়েছেন পঙ্গু। তখন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো দেশের নিরাপত্তা এবং সংখ্যালঘুদের জান-মালের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেছে। তিনি বলেন, কারণ আমরা বুঝেছিলাম ভারতের মতো দেশ এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সংখ্যালঘু ইস্যু সামনে এনে বাংলাদেশে অশান্তি ছড়াতে চায়। আমরা সেই ষড়যন্ত্র ঠেকাতে পেরেছি। দেশের চলমান দুর্নীতি নিয়েও কঠোর সমালোচনা করেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। ইসলামী আন্দোলনের শীর্ষ নেতা বলেন, রক্ত শুকায়নি, মায়ের কান্না থামেনি, অথচ তখনই এক শ্রেণির নরপশু চাঁদাবাজিতে, টেন্ডারবাজিতে লিপ্ত হয়েছে। ঘাট দখল, স্টেশন দখল সব জায়গায় দুর্নীতি আর লুটপাট চলছে। এদের বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করতে হবে। বাংলাদেশকে এসব দুর্নীতিবাজদের কবল থেকে মুক্ত করতে হবে।
Discussion about this post