ঢাকা: ঈদযাত্রায় পুরান ঢাকার সদরঘাটে লঞ্চে হুড়োহুড়ি করে উঠতে গিয়ে এক যাত্রীর পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া আরেক যাত্রীর পা ভেঙে গেছে। লঞ্চ ও পন্টুনের মধ্যবর্তী স্থানে তাদের পা চাপা পড়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। আহতরা হলেন শাহজালাল ও কবির হোসেন। তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জাতীয় অর্থপেডিক্স পুনর্বাসন কেন্দ্রে (নিটোর) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে কবিরের পা কেটে ফেলা হয়েছে। জানা গেছে, রবিবার সকালে পটুয়াখালীগামী অনেক যাত্রী ঘাটে লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে এই নৌপথের পূবালী-১২ লঞ্চটি ঘাটে ভিড়তে শুরু করলে এতে ওঠার জন্য যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি লেগে যায়। এ সময় লঞ্চ ও পন্টুনের মধ্যে পা আটকে যায় শাহজালাল ও কবিরের। পরে তাদের উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। মিডফোর্ট হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, আহতদের রবিবার বিকালে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালকে ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) রেফার্ড করা হয়। সোমবার নিটোরে কবির হোসেনের প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া বাঁ পা অস্ত্রপচার করে কেটে ফেলতে হয়েছে নিটোরের একটি সূত্র জানায়, কবির হোসেনের ডান পায়েও আঘাত লেগেছে। এছাড়া আহত আরেক যাত্রী মো. শাহজালালের পায়ে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তবে তার পায়ের আঘাত গুরুতর নয়। মিটফোর্ট হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার সাজ্জাদ হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আহত দুজনকে রবিবার সকালে মিটফোর্ড হাসপাতালে আনা হয়েছিল। পরে তাদেরকে নিটোরে স্থানান্তর করা হয়। কবির হোসেনের স্বজন দুলাল হাওলাদার বলেন, ঈদের ছুটি থাকায় হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সের স্বল্পতা রয়েছে। এদিকে রবিবার রাতে শাহজালালের পায়ের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তবে পায়ের আঘাত গুরুতর নয় বলে চিকিৎসকেরা তাকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হাসপাতালে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক গণমাধ্যমকর্মীদের বলেছেন, আহত দুই যাত্রীর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন এমভি পূবালী-১২ লঞ্চের মালিক আজগর আলী। কোতওয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, এ ধরনের খবর এখনও শুনিনি।
Discussion about this post