আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি সম্প্রতি ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের আগ্রাসন এবং তার প্রেক্ষিতে তিনটি ইউরোপীয় দেশের দায়িত্বজ্ঞানহীন অবস্থানকে তীব্র সমালোচনা করেছেন। এছাড়া তিনি তাদের ‘স্ন্যাপব্যাক মেকানিজম’ সক্রিয় করার হুমকিরও সমালোচনা করেছেন।বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে এক ফোনালাপে আরাঘচি এসব কথা বলেন। তেহরান-ভিত্তিক প্রেস টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) অধীনে ইরানি জনগণের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় ইরানের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।আরাঘচি জাতিসংঘ ও এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানান, যাতে তারা ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর অবৈধ হামলার বিরুদ্ধে একটি সুস্পষ্ট ও কার্যকর অবস্থান নেয়।আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে ইরানের সহযোগিতামূলক মনোভাবের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ইরান তার নিরাপত্তা সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতা পূরণে সদিচ্ছা দেখিয়েছে, বিশেষ করে পারমাণবিক সক্ষমতার বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক হামলাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে।তিনি বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলো এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের উচিত ইরানের কূটনৈতিক অগ্রগতিকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং সমর্থন জানানো।আরাঘচি দখলদার ফিলিস্তিনে চলমান মানবিক সংকট নিয়েও কথা বলেন এবং ইসরায়েলের হাতে সংঘটিত গণহত্যাকে তীব্রভাবে নিন্দা জানান, একে তিনি বৈশ্বিক অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত সংকট হিসেবে চিহ্নিত করেন।তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই আগ্রাসন বন্ধ এবং গাজায় চলমান ট্র্যাজেডি মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘের, বিশেষ করে মহাসচিবের একটি সম্মিলিত দায়িত্ব রয়েছে।আরাঘচি কাতারে ইসরায়েলি সন্ত্রাসী হামলারও নিন্দা জানান।গত মঙ্গলবার ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস প্রতিরোধ আন্দোলনের সদর দপ্তরে বিমান হামলা চালায়, যেটিকে ইসরায়েলি গণমাধ্যম “হত্যাকাণ্ড অভিযান” হিসেবে বর্ণনা করেছে। ওই সময় হামাসের শীর্ষ নেতারা গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক প্রস্তাব নিয়ে বৈঠক করছিলেন বলে জানা যায়।
Discussion about this post