আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ অভিযানে নিহত হয়েছেন আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রধান নেতা আবু ইব্রাহিম আল হাশেমি আল কুরাইশি। বুধবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওই হামলায় সাত শিশু ও চার নারীসহ আরও ১২ জন নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার আইএস প্রধানের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে বিশেষ অভিযানে নিয়োজিত বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। অভিযান শেষে সবাই নিরাপদে দেশে ফিরেছেন বলেও জানান জো বাইডেন। বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা যুদ্ধক্ষেত্রে আইএসের প্রধান নেতাকে হত্যা করতে সক্ষম হয়েছি। অভিযানে অংশ নেওয়া সব মার্কিন সেনা সদস্য নিরাপদে ফিরে এসেছেন। দক্ষতা ও সাহসিকতার জন্য সেনা সদস্যদের ধন্যবাদ। তাদেরকে নিয়ে আমরা গর্বিত।’ স্থানীয় সময় বুধবার রাতভর ইদলিব প্রদেশে অভিযানে সাত শিশু ও তিন নারীসহ মোট ১২ জন নিহত হয়েছে। আতমেহ গ্রামে মৃতদের দেহের ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকতে দেখেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই হামলাতেই আইএস প্রধান নিহত হয়েছেন। ইদলিব প্রদেশ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাহিনীকে প্রতিরোধকারী শেষ বিদ্রোহী ছিটমহল। সিরিয়া যুদ্ধের ফলে বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার মানুষের অস্থায়ী এই শিবিরে হামলা চালিয়ে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। ২০১৫ সালে গৃহযুদ্ধ কবলিত মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশ ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল এলাকা দখল করে পৃথক রাষ্ট্র বা খিলাফত ঘোষণা করে আইএস। এই রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয় সিরিয়ার রাক্কা শহরে। সে সময় আইএসের তৎকালীন প্রধান নেতা ছিলেন আবু বকর আল বাগদাদি, যিনি ২০১৯ সালের ২৬ অক্টোবর ইদলিব প্রদেশেই মার্কিন বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছিলেন। বাগদাদি নিহত হওয়ার পর আইএসের প্রধান খিলাফত বা নেতার আসনে বসেন কুরাইশি।
উল্লেখ্য, কয়েক বছর ধরেই মার্কিন সামরিক বাহিনী উত্তর সিরিয়ায় আল-কায়েদার শীর্ষ নেতাদের হত্যা করার জন্য ড্রোন ব্যবহার করে আসছে। দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বিদ্রোহী যোদ্ধা গোষ্ঠী সক্রিয় হয়েছিল।
Discussion about this post