সৌমিত্র সুমন,কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: গত এক সপ্তাহ ধরে আলোচনায় থাকা ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে পর্যটক শূন্য কুয়াকাটা। অধিকাংশ হোটেল মোটেলের রুম ফাঁকা। ব্যস্থতা নেই পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ীদের মাঝে। ফলে অলস সময় পার করছে পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ীরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সৈকতে পর্যটকদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। স্থানীয় মানুষের উপস্থিতি কিছুটা লক্ষ করা গেছে। আতংক বিরাজমান হওয়ায় পর্যটকদের উপস্থিতি একদম শূন্যের কোটায় বলে মনে করছে পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ীরা। পর্যটকদের টানতে প্রথম সারির হোটেল থেকে আরম্ভ করে বেশিরভাগ হোটেল মোটেলে পঞ্চাশ শতাংশ ছাড় দিয়েও মিলছেনা কাঙ্ক্ষিত পর্যটক। আবাসিক হোটেল খাঁন প্যালেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেল খাঁন সময়নিউজ24ডটকম-কে জানান, একদিকে অসহ্য গরম অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কুয়াকাটায় পর্যটকের উপস্থিতি নাই বললেই চলে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে যে পরিমাণে পর্যটকদের উপস্থিতি থাকে তার সিকি ভাগও উপস্থিতি নেই। সৈকতে চা বিক্রেতা মো. রেজাউল করিম সময়নিউজ24ডটকম-কে বলেন, গত দুই দিন ধরে পর্যটকদের উপস্থিতি একদম নেই বললেই চলে। সারাদিন দুইশত তিনশো টাকা বিক্রি করা দায় হয়ে পড়ে। ফুচকা বিক্রেতা হানিফ সময়নিউজ24ডটকম-কে বলেন, সারাদিন কোন বিক্রি বাট্টা হয়না। ঘূর্ণিঝড় মোখার কারনে পর্যটক আসেনা গত দুইদিন ধরে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে চোখে পড়ার মত কোন পর্যটক নেই। হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যসোসিয়েশনের সেক্রেটারি মোতালেব শরীফ সময়নিউজ24ডটকম-কে বলেন, মানুষের মাঝে সব সময় আতংক বিরাজ করে। ঘূর্ণিঝড় মোখার কারনে পর্যটকদের উপস্থিতি নেই কুয়াকাটায়। তবে মোখা যদি আগাতহানে তবে আমাদের হোটেল গুলোতে পর্যটক ও স্থানীয়দের আশ্রয় দেয়ার জন্য বিগত দিনের মতো প্রস্তুত আছি। ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ সময়নিউজ24ডটকম-কে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মেকাবেলায় আমরা সর্বদা প্রস্তুত আছি। ট্যুরিস্টদের নিরাপত্তা প্রদানে বিভিন্ন স্পটগুলো নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন সময়নিউজ24ডটকম-কে বলেন,উপজেলা প্রশাসন মোখার জন্য সার্বক্ষনিক প্রস্তুত আছি। কুয়াকাটায় সব বড় হোটেল গুলোকে পর্যটক ও সহানীয়দের আশ্রয় দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
Discussion about this post