স্পোর্টস ডেস্ক:এক পাশে ইতিহাসের সেরা তারকাদের একজন, অন্য পাশে সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ। লিওনেল মেসি আর লামিনে ইয়ামালকে মুখোমুখি দেখার স্বপ্ন দীর্ঘদিনের। সেই স্বপ্ন এবার সত্যি হতে চলেছে। কোপা আমেরিকা ও ইউরো জয়ের সুবাদে ফিনালিসিমায় মুখোমুখি হচ্ছে আর্জেন্টিনা ও স্পেন। দীর্ঘদিন ধরে অনিশ্চয়তায় থাকা এই মহারণের সূচি অবশেষে আলোর মুখ দেখছে—যা হতে পারে প্রজন্মের সেরা লড়াইগুলোর একটি!দীর্ঘদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নির্ধারিত হতে যাচ্ছে ফিনালিসিমার সময়। আর্জেন্টিনা ও স্পেনের শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়া গণমাধ্যম ‘এএস’ ও ‘টিওয়াইসি স্পোর্টস’ জানিয়েছে, ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হতে পারে আগামী বছরের মার্চে। ২০২৪ সালের কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনা এবং ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে স্পেন শিরোপা জেতার পরই দুই দলকে নিয়ে ফিনালিসিমা আয়োজনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। তবে জাতীয় দল ও ক্লাব ফুটবলের টানা ব্যস্ত সূচির কারণে ম্যাচটির নির্দিষ্ট সময় চূড়ান্ত করতে হিমশিম খেতে হয়েছে দুই দেশের ফুটবল সংস্থাকে।টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে, আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া এবং স্প্যানিশ ফুটবলের (আরএফইএফ) প্রধান রাফায়েল লুজান সম্মত হয়েছেন যে, ২০২৬ সালের ২৬–৩১ মার্চের মধ্যে দুটি দেশ মুখোমুখি হবে। এর কয়েক মাস পরই আবার যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোয় বসবে ২০২৬ বিশ্বকাপের আসর। যদিও আর্জেন্টিনা ইতোমধ্যে লাতিন অঞ্চল থেকে শীর্ষ দল হিসেবে বিশ্বকাপের টিকিট পেলেও, এখনও বাছাইপর্ব শেষ হয়নি স্পেনসহ ইউরোপীয় দেশগুলোর।এদিকে, স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এএস–এর তথ্যমতে, ফিনালিসিমার দ্বিতীয় সংস্করণে ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নরা ২০২৬ সালে মার্চের শেষদিকে পরস্পরের মোকাবিলা করবে। এই সূচি (তারিখ ও সময়) চূড়ান্ত হবে বিশ্বকাপ প্লে-অফের জন্য নির্ধারিত আন্তর্জাতিক উইন্ডোর মাঝেই। মহাদেশীয় (ইউরোপ) ও আন্তর্জাতিক দুই সংস্থা উয়েফা, ফিফার পাশাপাশি এএফএ এবং আরএফইএফও ফিনালিসিমার এই প্রত্যাবর্তনটা সফলভাবে আয়োজনে আগ্রহী। ব্যস্ত সূচির মাঝেও আর্জেন্টিনা-স্পেনের লড়াই যথাযথ মর্যাদা ও রোমাঞ্চ ধরে রাখবে বলেই প্রত্যাশা তাদের।ফিনালিসিমা আসলে ১৯৮৫ ও ১৯৯৩ সালে অনুষ্ঠিত ‘আর্তেমিও ফ্রাঞ্চি কাপ’-এর আধুনিক সংস্করণ হিসেবে চালু করা হয়। সেই পুরোনো আসরে শেষবার এই শিরোপা জিতেছিলেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা। ফিনালিসিমা পুনরায় চালুর পর প্রথম আসরেও ট্রফি ধরে রাখে আর্জেন্টিনা। কাতার বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আগে, ওই বছরের জুনে ইতালিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা তুলে নেয় মেসি ও স্কালোনির দল। আসন্ন ফিনালিসিমা নিয়ে আলোচনা শুরু হয় গত মে মাসে অনুষ্ঠিত ফিফা ও উয়েফার ৭৫তম কংগ্রেসে।
Discussion about this post