ঢাকা : মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবুল মঞ্জুরকে হত্যার ৪১ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ বুধবার। ১৯৮১ সালের ১ জুন সামরিক হেফাজতে চট্টগ্রাম সেনানিবাসের তৎকালীন এই জিওসিকে হত্যা করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে অবিস্মরণীয় অবদানের জন্য তাকে বীরউত্তম খেতাবে ভূষিত করা হয়েছিল। ১৯৮১ সালের ১ জুন মধ্যরাতে ওপর মহলের নির্দেশে ঠান্ডা মাথায় একটিমাত্র বুলেটে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার জেনারেল মঞ্জুরকে হত্যা করা হয়। এর দুদিন আগে ৩০ মে ভোরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বিপথগামী একদল সেনাসদস্যের হাতে প্রাণ হারান। তখন চট্টগ্রামে অবস্থিত সেনাবাহিনীর ২৪তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার স্টাফ (জিওসি) ছিলেন মেজর জেনারেল মঞ্জুর। জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর আত্মগোপনে যাওয়ার পথে মঞ্জুরকে আটক করে পুলিশ। এরপর ওই বছরের ১ জুন তাকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। মঞ্জুর হত্যার ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এবং মৃত্যুর সনদপত্র পেতে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা করেন ভাই আইনজীবী আবুল মনসুর আহমেদ। একই বছরের ২৭ জুন এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। তবে দীর্ঘ ২৭ বছরেও মামলাটির বিচারকাজ শেষ হয়নি। মামলার প্রধান আসামি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ এবং অন্যতম আসামি মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল লতিফ মারা যাওয়ায় আদালত তাদের দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
Discussion about this post