আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মেক্সিকোর কারাবন্দি মাদকসম্রাট হোয়াকিন এল চাপো গুজম্যানের ছেলে অভিদিও গুজম্যানকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় দফায় দফায় সংঘর্ষে ২৯ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১০ জন সেনা সদস্য আর বাকি ১৯ জন সন্দেহভাজন মাদক চক্রের সদস্য। এএফপির খবরে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য সিনালোয়ায় এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে সেখানে হাজার হাজার সৈন্য মোতায়েন রয়েছে। তারা সিনালোয়ার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মেক্সিকোর নিরাপত্তা বাহিনী কারাবন্দি মাদকসম্রাট এল চাপোর ৩২ বছর বয়সী ছেলে অভিদিওকে গ্রেপ্তার করে। তাকে গ্রেপ্তারের পর নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাদক চক্রের সদস্যদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। সিনালোয়া কার্টেলের সদস্যরা সড়ক অবরোধ, ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। সিনালোয়া রাজ্যে ‘সিনালোয়া কার্টেল’ নামে মাদক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিল এল চাপো। তিনি কারাবন্দি হওয়ার পর তার ছেলেরাই এই মাদক সাম্রাজ্যের দেখভাল করছিল। ‘এল চাপো’ যুক্তরাষ্ট্রে কড়া নিরাপত্তাধীন একটি কারাগারে সাজা ভোগ করছেন। তাকে ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। নিউইয়র্কের একটি আদালত এল চাপোকে দোষী সাব্যস্ত করে। মাদক পাচারের অভিযোগে কয়েক বছর ধরে অভিদিওকে হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে আসছে প্রতিবেশী যুক্তরাষ্ট্র। তাকে গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করলে ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণাও আছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বাবা এল চাপোর মতো অভিদিওকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আপাতত হস্তান্তর করা হবে না বলে জানিয়েছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওভ্রাদর। এর আগে ২০১৯ সালেও অভিদিওকে একবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু গ্রেপ্তারের পর সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে প্রাণহানি এড়াতে প্রেসিডেন্ট লোপেজ ওভ্রাদরের নির্দেশে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। গ্রেপ্তারের পরও অভিদিওকে ছেড়ে দেওয়ায় সেসময় প্রেসিডেন্ট ওভ্রাদর তীব্র সমালোচিত হন। তবে তিনি যুক্তি দেখিয়েছিলেন, বেসামরিক নাগরিকদের জীবন রক্ষায় তাকে এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
Discussion about this post