মোস্তাফিজুর রহমান সুজন(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়ন বিএনপির অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় আওয়ামী যুবলীগের এক কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় দেউলী বাজারে অবস্থিত বিএনপির অফিস ভাঙচুর করেছে কতিপয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। মামলায় ইমরান সিকদার নামের এক যুবককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বিএনপি নেতা কর্মীদের ভাষ্যমতে,পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আওয়ামীলীগের নেতাদের ঈন্ধন ও সাজানো ছক অনুযায়ী যুবলীগ কর্মী ইমরান সিকদার গং এই হামলা ও ভাঙচুর যজ্ঞ চালায়। তাঁরা বলেন,এর পেছনে রয়েছে অন্ততঃপক্ষে আরো বিশ-পঁচিশজন আওয়ামীলীগের নেতা কর্মী,যারা বিএনপির শক্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য এই কাজ করেছে। আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা যে কোনো সময় বাজার দখল করে এবং আসন্ন শারদীয় দুর্গা পূজায় হামলা করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে বলে বিএনপি নেতা কর্মীদের আশঙ্কা। অফিস ভাঙচুর ও মামলার ব্যাপারে দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান খানের কাছে জানার জন্য ফোন করা হলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন খান (ফারুক) অফিস ভাঙচুরের বিষয় সত্যতা নিশ্চিত করেন। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে,বিএনপির অফিস কক্ষের দরজায় তালা ছিল। যা একটি শক্ত মজবুত লাঠি দ্বারা আঘাত করে ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এর আগে দরজা ধাক্কা দিয়ে খোলার চেষ্টা করে। একটি কব্জা ছুঁটাতে পারলেও অন্যগুলি পারেনি। পরে ভিতরে ঢুকে অফিস কক্ষের ভেতর থাকা চেয়ারগুলি ভেঙে ফেলে। মির্জাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শামীম হাওলাদার তাৎক্ষণিকভাবে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ইমরান সিকদার নামের এক যুবলীগ কর্মীকে আটক করেন। এর আগে স্থানীয় জনতার হাতে সে আটক হয়। ধৃত ইমরান সিকদার দেউলী গ্রামের ইউনুচ সিকদারের ছেলে। মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শামীম হাওলাদার বলেন, এ ঘটনার সাথে জড়িত ইমরান সিকদার নামে একজনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আওলাদ হোসেন বাদী হয়ে মির্জাগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। এতে তিন জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত বিশ থেকে পঁচিশ জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
Discussion about this post