আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের বিরুদ্ধে শুক্রবার অর্থ পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘুষ গ্রহণ, মানিলন্ডারিং এবং কোভিড-১৯ তহবিলের অপব্যবহারে জড়িত থাকায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়। মুহিউদ্দিন ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ১৭ মাস মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আর এই সময়টায় দেশটিতে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সর্বোচ্চ লড়াই চালানো হয় এবং বর্তমানে তিনি প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সরকারের বিরুদ্ধে একটি বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ৭৫ বছর বয়সী মুহিউদ্দিন তার রাজনৈতিক দল বেরসাতুর জন্য ২৩২.৫ মিলিয়ন রিঙ্গিত (৫১.৪ মিলিয়ন ডলার) ঘুষ পেতে তার ক্ষমতার ব্যবহার করায় সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। খবরে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে আনা প্রত্যেক অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে সর্বোচ্চ ২০ বছর সাজা ভোগ করতে হতে পারে। চার্জশিট থেকে জানা যায়, বেরসাতুর একাউন্টে জমা হওয়া ১৯৫ মিলিয়ন রিঙ্গিত মানিলন্ডারিং করায় জড়িত থাকায় মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে আরো দু’টি অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই অভিযোগগুলোর প্রত্যেকটির জন্য তার সর্বোচ্চ ১৫ বছর সাজা হতে পারে। শুক্রবার দায়রা জজ আদালতে মুহিউদ্দিন তার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগে দোষ স্বীকার না করে বিচারের আবেদন জানান। তিনি জামিনে মুক্তি পেলেও তাকে পাসপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি) মুহিউদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার একদিন পর এসব অভিযোগ আনা হয় এবং পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
Discussion about this post