মাদারীপুর প্রতিনিধি: মাদারীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং একই উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মজিবর রহমান খানকে (৬৬) কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। রবিবার রাত ৯টার দিকে মাদারীপুর শহরের ২নং শকুনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন চৌধুরী। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রবিবার রাত ৯টার দিকে শহরের কলেজ গেট থেকে হেঁটে ২নং শকুনী এলাকার নিজ বাসায় ফিরছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মজিবর রহমান খান। বাসার সামনে পথিমধ্যে মুখোশধারী একদল দুর্বৃত্ত এলোপাতাড়িভাবে তাকে কুপিয়ে জখম করে। এসময় তার ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন চিকিৎসক। স্বজনদের অভিযোগ, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন তার উপর হামলা চালানো হয়েছে। এই ঘটনার বিচার দাবী করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। আহত মজিবর রহমান খানের ভাতিজা সজল খান বলেন, সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার চাচাকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর বিজয় লাভ করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বর্তমান চেয়ারম্যান লাবলু তালুকদার। তার নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছে। এই ঘটনার বিচার চাই।’ পেয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান লাভলু তালুকদার বলেন, ‘এই ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই। আমাকে জড়ানো হচ্ছে রাজনৈতিক কারণে। পুরো ঘটনা ভিত্তিহীন, অসত্য অভিযোগ দিচ্ছে আমার নামে। গ্রামের কোন্দল তো আর শহরে যাওয়ার কথা না।’ মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, এই হামলার ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। পূর্ব শত্রতা নাকি এলাকার বিরোধ, দুটি বিষয় নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে, অপরাধীরা শিগগিরই ধরা পড়বে।
Discussion about this post