ঢাকা: ভৌগোলিকগত অবস্থানের কারণে পুণ্যভূমি খ্যাত অঞ্চল সিলেট দেশের উচ্চ ভূমিকম্প ঝুঁকিপূর্ণ ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, এখানে ৬ মাত্রার বেশি ভূমিকম্প হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। ডাউকি ফল্ট, সিলেট ফল্ট ও ত্রিপুরা ফল্টের নিকটবর্তী অবস্থান সিলেটকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। ১৮৯৭ সালের ৮ দশমিক ৩ মাত্রার ‘বড় ভৈশাল’ ভূমিকম্পও এই অঞ্চলে আঘাত হেনেছিল।সিলেট নগরের অধিকাংশ ভবন বিল্ডিং কোড মানা ছাড়াই নির্মিত এবং অনেক পুরোনো ভবন দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বড় ভূমিকম্প হলে এসব ভবনের ৮০ শতাংশ ধসে পড়তে পারে। সিসিক নগরের ২৪টি ভবনকে ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যদিও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় ঘাটতি রয়ে গেছে।শাবিপ্রবির অধ্যাপক ড. মুশতাক আহমদ সতর্ক করে বলেছেন, ডাউকি ফল্টে যে কোনো সময় বিপর্যয় ঘটতে পারে। তিনি নতুন ভবনের ডিজাইনে থার্ড পার্টি ভেটিং বাধ্যতামূলক করা এবং ভবন নির্মাণে কঠোর নিয়ম প্রয়োগের পরামর্শ দেন। একইভাবে অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ, ইভাকুয়েশন ম্যাপ, ভলান্টিয়ার প্রস্তুত ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণের তাগিদ দেন।সিসিক জানিয়েছে, নগরে ২৭টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে, যার মধ্যে নয়টি ভবনকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে পাওয়া গেছে। তবে পূর্ণাঙ্গ সার্ভে ভবন মালিকদের অনাগ্রহে আটকে আছে। এ অবস্থায় সম্প্রতি সিসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে— চিহ্নিত সব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলা হবে, পাশাপাশি নতুন অ্যাসেসমেন্ট করে আরও ভবন শনাক্তের কাজ শুরু হবে।
























































Discussion about this post