স্পোর্টস রিপোর্ট: সুপার এইটে যেতে জয়ের বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে রানরেটটাও বাড়িয়ে নিতে হতো ইংল্যান্ডকে। সহযোগী দেশ ওমানকে সামনে পেয়ে দুই দিকই মজবুত করে নিলো বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। শুক্রবার বিশ্বকাপের ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে ওমানকে তারা হারিয়েছে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। ওমানের দেয়া ৪৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ইংলিশ ব্যাটাররা খেলেছেন মোটে ১৯ বল। ৫.২ ওভারের আগে লক্ষ্য তাড়া করতে পারলে স্কটল্যান্ডকে রানরেটে টপকে যাওয়া সম্ভব ছিল। জস বাটলারের ৮ বলে ২৪ রানের সুবাদে তার আগেই সেটা করল ইংলিশরা। স্কটল্যান্ডের +২.১৬৩ কে টপকে ইংল্যান্ডের রানরেট এখন +৩.০৮১। দ্রুতগতির এই লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে বেশকিছু রেকর্ডও ভেঙেছে ইংল্যান্ড। সবচেয়ে বেশি বল হাতে রেখে জয়ের রেকর্ড তো আছেই, সঙ্গে ওমানকেও কম রানে অলআউট হওয়ার লজ্জা দিয়েছে তারা। ১০১ ওমানের দেয়া ৪৮ রানের টার্গেট ইংল্যান্ড টপকে যায় ১০১ বল হাতে রেখে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এত বেশি বল হাতে রেখে জেতার রেকর্ড নেই। এর আগের রেকর্ড ছিল বাংলাদেশে। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা নেদারল্যান্ডসের টার্গেট টপকে যায় ৯০ বল বাকি রেখে। ৪৭ ওমানের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বনিম্ন স্কোর হলো আজ। এর আগে নেপালের বিপক্ষে ৭৮ রানে অলআউট হওয়া ছিল তাদের সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। ৪ ওমানের ৪৭ রানে অলআউট হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চতুর্থ সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। সর্বনিম্ন ৩৯ রান করেছে নেদারল্যান্ডস (২০১৪ বিশ্বকাপ) এবং উগান্ডা (২০২৪ বিশ্বকাপ)। এরপরেই আছে নেদারল্যান্ডসের ৪৪ রানের আরেকটি দলীয় সংগ্রহ। ৩ মার্ক উড, জোফরা আর্চার এবং আদিল রাশিদ, ইংল্যান্ডের এই তিন বোলারই পেয়েছেন ৩ বা এর বেশি উইকেট। বিশ্বকাপে একই দলের তিন বোলারের কমপক্ষে তিন উইকেট পাওয়ার প্রথম ঘটনা এটি। ২ ওমানের ৪৭ রানে অলআউট ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২য় সর্বনিম্ন রানের ইনিংস। ইংলিশদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে কম রান ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২০১৯ সালে ক্যারিবিয়ানরা অলআউট হয়েছিল মাত্র ৪৫ রানে।
Discussion about this post