চাঁদপুর প্রতিনিধি: চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে মসজিদে ঢুকে ফজরের আযান চলাকালীন সময়ে মুয়াজ্জিন নুরুল ইসলাম লেদুকে (৬০) কুপিয়ে পালিয়েছে এক যুবক। গুরুতর আহত মুয়াজ্জিনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে একই এলাকার মোস্তাফিজুর রহমান মিঠু (৪৮) দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মসজিদের ভেতরে গিয়ে এই হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠে। খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মুয়াজ্জিনের ছেলে মুনাব্বর হোসেন ইকরাম তার বাবাকে আযান দেওয়া অবস্থা কুপিয়ে জখম করার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান। বাবার পক্ষে তিনি বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান। ঘটনার বিবরণীতে দেশগাঁও বায়তুল নূর জামে মসজিদের ইমাম শাহ সুলতান ভূঁইয়া বলেন, ‘মিঠু গত কয়েকদিন ধরে তাকে ও মুয়াজ্জিনকে গালিগালাজ এবং হুমকি দিয়ে আসছে। গত বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুর রহমানের ছোট ছেলের মৃত্যু ও জানাজার খবর মসজিদে মাইকিং করার পর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে মিঠু। কেনো শিশুর মৃত্যুর খবর মাইকিং করা হলো এর জবাব চান মিঠু।’ মুনাব্বর হোসেন ইকরাম বলেন, ‘গতকাল শনিবার রাতে বাবাকে গালিগালাজ ও হুমকি দেয় মিঠু। তখন স্থানীয় দোকানের সামনে তাদের সাথে বাগবিতণ্ডা হয়। ভোরে বাবা আযান দেওয়া অবস্থায় এই হামলা করে। পরে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।’ মাদ্রাসার শিক্ষক মাহমুদুল হাসান ও প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদ্রাসার কয়েক শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘ফজরের আযানে ‘হাইয়াআলাস সালা, হাইয়াআলাস সালা’ বলার পর মুয়াজ্জিন নুরুল ইসলাম লেদু বাঁচাও, বাঁচাও বলে চিৎকার দেয়। এসময় দ্রুত মিঠু মসজিদ থেকে বেরিয়ে যায়।’ অভিযুক্ত মিঠুর ছোট ভাই শাহ পরান বলেন, ‘তার বড় ভাই মিঠু এই ঘটনায় জড়িত নন। যারা এমন হামলায় জড়িত তাদের শনাক্ত করে বিচারের দাবী জানান তিনি। তবে তার ভাই মিঠু সকাল থেকে পালাতক রয়েছেন বলে জানান তিনি।’ হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রশিদ জানান, ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Discussion about this post