স্পোর্টস ডেস্ক:ম্যাচ শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে যেতে পারতো রিয়াল মাদ্রিদ। তবে দলকে আরও একবার হতাশায় ডুবালেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়াস জুনিয়র। পেনাল্টি পেয়েও তা মিস করে বসেন এই তারকা ফুটবলার। তার পাঁচ মিনিট পরেই গোল হজম করে বসে আনচেলত্তির দল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে একটি গোল শোধ করেন ভিনিসিয়াস। যদিও শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠে ভ্যালেন্সিয়ার কাছে হেরেছে লস ব্লাঙ্কোসরা।সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে শনিবার (৫ এপ্রিল) লা লিগার ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে ভ্যালেন্সিয়া। ম্যাচের নির্ধারিত সময় শেষে যখন ড্রয়ের আভাস মিলছিল, তখনই নাটকীয় এক মুহূর্তের জন্ম দিলো ভ্যালেন্সিয়া। যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে হুগো দুরো গোল করে জয় এনে দেন ভ্যালেন্সিয়াকে। এই হারে শিরোপা লড়াইয়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়লো কার্লো আনচেলত্তির দল।পুরো ম্যাচে গোলের জন্য ১০টি শট নিয়ে মাত্র দুটি লক্ষ্যে রাখতে পারে ভালেন্সিয়া। আর সেই দুটি শটেই গোল পেয়ে যায় ভ্যালেন্সিয়া। আর প্রায় ৬৫ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ২১টি শট নিয়েছে রিয়াল, তার মধ্যে ৯টি শট তারা লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে। তবুও হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে স্বাগতিকদের। এদিন পরের ম্যাচেই রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। এই জয়ে ৬ পয়েন্ট এগিয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধারের পথে অনেকটা এগিয়ে গেলো কাতালানরা। ম্যাচের দশম মিনিটে প্রতি-আক্রমণে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন কিলিয়ান এমবাপ্পে। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার তাররেগা তাকে ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। কিন্তু ভিনিসিয়াসের দুর্বল স্পট কিক রুখে দেন জিওর্জি মামারদাশভিলি। গত ১৩ মার্চ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষেও পেনাল্টি থেকে গোল মিস করেছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়াস। তিন সপ্তাহের মধ্যে আবারও একই অভিজ্ঞতা হলো তার। ভিনির পেনাল্টি মিসের পাঁচ মিনিট পর স্বাগতিকদের জালে বল জড়ায় সফরকারীরা। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল দারুণ হেডে জালে পাঠান দিয়াখাবি। গোলরক্ষক ফ্রান গন্সালেস জায়গা থেকে নড়ার সুযোগ পাননি। বল নিজেদের দখলে রেখে বাকি সময় ভালো কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলো রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় জালের দেখা পায়নি রিয়াল। তবে দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান ভিনিসয়াস। কর্নারে বেলিংহ্যামের মাথা ছুঁয়ে আসা বল গোলমুখ থেকে টোকায় বল জালে জড়ান ভিনি। ৬৫তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো ভালেন্সিয়া। তাররেগার সোজাসুজি হেড ধরতে গিয়ে তালগোল পাকান গন্সালেস, তবে আর কোনো বিপদ ঘটেনি। দু্ই মিনিট পর ফ্রান গার্সিয়ার পাস পেয়ে এমবাপ্পের জোরাল শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। শেষ দিকে ৬ মিনিট যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে দারুণ এক পাল্টা আক্রমণ করে ভ্যালেন্সিয়া। সতীর্থের ক্রস পেয়ে নিখুঁত হেডে দলকে জয়েল উপলক্ষ্য এনে দেন দুরো। আর তাতেই স্মরণীয় এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভ্যালেন্সিয়া।
Discussion about this post