ঢাকা : অর্থনীতির সব সূচকে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভালো অবস্থানে থেকেই বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে। শুক্রবার আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে তিনি একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে এ সভা হয়।সূত্র জানায়, দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিকে সচল ও সবল রাখার জন্য তার সরকারের সার্বিক কার্যক্রম বৈঠকে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশে যেন খাদ্যে প্রভাব ফেলতে না পারে সেজন্য শস্য উৎপাদনের জোর দিয়েছেন তিনি। বৈঠকে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন উপস্থিত একাধিক নেতা। এ সময় নেতারা বলেন, একটি গোষ্ঠী বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা করছেন। তারা দিবাস্বপ্নে বিভোর হয়েছেন। এরা ষড়যন্ত্রকারী। দেশ যখন এগিয়ে যায়, এদের ভালো লাগে না। তাই তারা সরকার ও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। এটা নতুন কিছু নয়। তবে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। একই সঙ্গে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশে যেন খাদ্যে প্রভাব ফেলতে না পারে সেজন্য শস্য উৎপাদনের জোর দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, খাদ্য উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। একটু জায়গাও ফাঁকা রাখা যাবে না। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে তেল, সারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আগামী কয়েক মাস সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এবং চোখ কান খোলা রাখার পরামর্শ দেওয়া হয় বৈঠকে। কৃষি উৎপাদনে জোর দেওয়া হয়। খাদ্য শস্য এবং তেল জাতীয় শস্য উৎপাদনের তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতির সব সূচকে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। ভালো অবস্থানে থেকেই বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে। তবে সরকারি ব্যয় সংকোচনের জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা কাটছাঁট করছি। সতর্কতা অবলম্বন করছি। আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং দলের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বিকাল সাড়ে ৪টায় এ সভা শুরু হয়। মাগরিবের নামাজের বিরতি দিয়ে সভা চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। সভায় মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, ওবায়দুল কাদের, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, ড. আব্দুর রাজ্জাক, কাজী জাফর উল্লাহ, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, রাশিদুল আলম, রমেশ চন্দ্র, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। সভায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, ৩টি উপজেলা, ৬টি পৌরসভা এবং এবং অষ্টম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে আরফানুল হক রিফাত মনোনয়ন দেয়া হয়।
Discussion about this post