ঢাকা : ভারত পাশে ছিল বলে অনেক শক্তিধর দেশও আমাদের নির্বাচন নিয়ে অশুভ খেলা খেলতে পারেনি বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ৩ ঘণ্টা ঘুমান। বাকি সময় দ্রব্যমূল্য নিয়ে ভাবেন, দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে, তা নিয়ে ভাবেন। এসময় তিনি আরও বলেন, সরকার সিন্ডিকেট সমর্থন করে না। যে বা যারাই এই সিন্ডিকেট করুক কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি যন্ত্রণা শেখ হাসিনা অনুভব করেন। তার ওপর আস্থা রাখুন। শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সম্মেলনের উদ্বোধন করে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। ওবায়দুল কাদের বলেন, অন্য শক্তিধর দেশগুলোর মতো ভারত আমাদের নির্বাচন নিয়ে দৌঁড়াদৌঁড়ি করেনি। তারা বলেছে, বাংলাদেশের নির্বাচন বাংলাদেশ করবে। ভারত পাশে ছিল বলে অনেক শক্তিধর দেশও আমাদের নির্বাচন নিয়ে অশুভ খেলা খেলতে পারেনি। এসময় সনাতন ধর্মের মানুষের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, মাইনোরিটি ভাবনাটাই দাসত্বের দোসর, এটাকে ভেঙে ফেলতে হবে। নিজেদের মাইনরিটি কেন ভাববেন! এদেশের ইতিহাস, অর্জন সব বাঙালির অবদান। কিছু লোক তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জায়গা মন্দিরের জায়গা দখল করে কষ্ট দেয়। এরা যদিও রাজনৈতিক পরিচয়ে থাকে, আসলে এরা দুর্বৃত্ত। এই দুর্বৃত্তরা আমাদের অভিন্ন শত্রু। এদের প্রতিরোধ করতে হবে, কোনো বিকল্প নেই। কেন ভারতবিরোধী মনোভাব বাড়ানো হচ্ছে? এ প্রশ্ন রেখে কাদের বলেন, ‘ইন্ডিয়া আউট’ বলে ক্যাম্পেইন চালিয়ে বৈরিতা সৃষ্টি সমীচীন নয়। যারা আন্দোলন আর নির্বাচনে ব্যর্থরা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে এধরনের তৎপরতা চালায়। ওবায়দুল কাদের বলেন, ২১ বছর যারা শাসন করেছিলো, এই সময়ে তারা ভারতের সঙ্গে বৈরিতা তৈরি করেছে। যেগুলো দ্বিপক্ষীকভাবে শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনা করে সমাধান করা যায়, সেগুলোও তারা করেনি। শেখ হাসিনার সময় সীমান্তসহ নানা সমস্যা আলোচনা করে সমাধান করা হয়েছে। মোদী আর হাসিনার সম্পর্কের অনেক সন্দেহের দেয়াল ভেঙে দিয়েছেন। তিস্তা চুক্তিরও ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে, ধৈর্য ধরতে হবে সমাধান হবে। তিক্ততার সৃষ্টি করে এইসব সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।
Discussion about this post