স্টাফ রিপোর্টার: বান্দরবানের রুমায় ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যৌথ অভিযানে বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) এ ঘটনায় এক নারীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রুমা উপজেলা সদরের কাছাকাছি গির্জাপাড়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন, গির্জাপাড়ার তরুণী লালরিন ত্লোয়াং বম (২০), যুবক ভাননুয়াম বম (৩৭) ও ভানলাং থাং বম (৪৫)। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, গ্রেপ্তার তিনজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গতিবিধির তথ্য প্রদানকারী এবং ব্যাংক ডাকাতিতে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ব্যাংক ডাকাতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উপপরিদর্শক মদন মিয়া আসামিদের আদালতে পাঠানোর প্রতিবেদনে বলেছেন, ওই তিনজনকে যৌথ অভিযানে সেনাবাহিনী আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে। তাঁদের সবার বাড়ি গির্জাপাড়ায়। তিনজনকেই ব্যাংক ডাকাতি, পুলিশ-আনসারের অস্ত্র লুটের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা চলমান সমন্বিত অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গতিবিধি কেএনএফের কাছে আদান-প্রদান করেন বলে স্বীকার করেছেন। তাছাড়া রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে অপহরণ ও পুলিশ-আনসারের অস্ত্র লুটের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহ রয়েছে। এর আগে সোমবার (৮ এপ্রিল) বান্দরবান জেলা পুলিশ প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে রয়েছে লুটের সময় ব্যবহৃত গাড়ির চালকও। তারা হলেন, গাড়িচালক মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন সাগর, ভানুনুন নুয়ান বম, জেমিনিউ বম ও আমে লনচেও বম। পুলিশের ধারণা, গ্রেফতার বম সম্প্রদায়ের তিন জন কুকি চিনের সদস্য হতে পারেন। গত ২ এপ্রিল রাতে রুমার সোনালী ব্যাংক ও পরেরদিন দুপুরে থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালায় কেএনএফ। রুমার সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটের চেষ্টা করলে টাকা নিতে না পেরে ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে অপহরণ করে। এ সময় পাহারায় থাকা পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় কেএনএফ। তবে ৩ এপ্রিল থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালিয়ে ১০ লক্ষাধিক টাকা লুট করে নেয় পাহাড়ের এই সশস্ত্র গোষ্ঠী। এ ঘটনার পর থেকে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনী সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করছে।
Discussion about this post