স্পোর্টস রিপোর্ট: দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নেদারল্যান্ডসের জয়ে সেমিফাইনালের সমীকরণ সহজ হয়ে যায় বাংলাদেশের। জিতলেই সেমি এমন সমীকরণকে সামনে রেখে খেলতে নেমে পাকিস্তানকে হারাতে সক্ষম হলো না টাইগাররা। অন্যদিকে ৫ উইকেটের জয় নিয়ে চতুর্থ ও শেষ দল হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরের সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল পাকিস্তান। বাংলাদেশের দেয়া ১২৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ঠাণ্ডা মাথায় খেলতে থাকেন দুই পাকিস্তানি ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম। কিন্তু বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সুবিধা করতে পারছিলেন না তারা। ওপেনিং জুটিতে আসে ৫৭ রান। ৩৩ বলে ২৫ রানে বাবর ও ৩২ বলে ৩২ বলে আউট হন রিজওয়ান। এরপর আরও তিন উইকেট হারালেও জয় পেতে কষ্ট হয়নি পাকিস্তানিদের। ১১ বলে ৪ রান করেন মোহাম্মদ নেওয়াজ এবং ১৮ বলে ৩১ রানে সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ হ্যারিস। এদিকে ইফতেখার আউট হন ১ রানে। আর শাদাব খানকে সঙ্গে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন শান মাসুদ। ২২ রানে মাসুদ ও ১ রানে শাদাব অপরাজিত থাকেন। এর আগে ম্যাচের শুরুতে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার দলনেতা সাকিব আল হাসান। ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১০ রান তুললেই সাজঘরে ফেরেন দলের ড্যাশিং ওপেনার লিটন কুমার দাস। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দুর্দান্ত ব্যাট করে যান শান্ত-সৌম্য। এই জুটিতে আসে ৫২ রান। ১৭ বলে ২০ রানে আউট হন সৌম্য সরকার। একই ওভারে সাজঘরের পথ ধরেন দলনেতা সাকিব আল হাসানও। ১ বল খেলে তুলতে পারেননি কোনো রান। এদিকে আপনতালে ব্যাট করতে থাকা ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। কিন্তু এরপর আর ইনিংসটা বড় করা হয়নি তার। আউট হয়েছেন ৫৪ রানে। ৪৭ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি সাতটি চারে সাজানো। এরপর পড়তে থাকেন একের পর এক উইকেট। একমাত্র আফিফ ছাড়া ছাড়া দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি কেউই। ২১ বলে ২৫ রান তুলে অপরাজিত থাকেন আফিফ। এছাড়া ৫ রানে মোসাদ্দেক, শূন্যরানে সোহান, ১ রানে তাসকিন ও ৭ রানে নাসুম আহমেদ আউট হন। পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। এছাড়া শাদাব খান দুটি ও ইফতেখার-রউফ একটি করে উইকেটের দেখা পেয়েছেন।
Discussion about this post