ঢাকা: লেখক-গবেষক, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও সাবেক সংসদ সদস্য শহীদজায়া অধ্যাপক পান্না কায়সার আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি আজ শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকাল আটটায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা যান। প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পান্না কায়সার শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারে স্ত্রী। ১৯৬৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তাদের বিয়ে হয়। সেদিন ঢাকা শহরে ছিল কারফিউ। পুরো দেশ তখন গণআন্দোলনে উত্তাল। শহীদুল্লাহ কায়সারের হাত ধরে তার পরিচয় আধুনিক সাহিত্যের সঙ্গে, রাজনীতির সঙ্গে। তার সংসার জীবন স্থায়ী হয় মাত্র দু’বছর ১০ মাসের মতো। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আলবদর বাহিনীর সদস্যরা শহীদুল্লাহ কায়সারকে তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। তারপর তিনি আর ফেরেননি। এরপর পান্না কায়সার একা হাতে মানুষ করেন তার দুই সন্তান শমী কায়সার এবং অমিতাভ কায়সারকে। এছাড়া তিনি ১৯৭৩ সাল থেকে শিশু কিশোর সংগঠন ‘খেলাঘর’ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। ১৯৯০ সালে তিনি এই সংগঠনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পান্না কায়সার ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৫০ সালের ২৫ মে জন্মগ্রহণ করেন। তার আরেক নাম সাইফুন্নাহার চৌধুরী। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় অবদান রাখার জন্য ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন পান্না কায়সার।
Discussion about this post