আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাজ্যপালের বক্তৃতার জবাব দিতে গিয়ে বিধানসভায় নিজের পরিবারের ‘ঢাল’ হয়ে দাঁড়ালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ, কলকাতার এক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার ভ্রাতৃবধূকে জড়িয়ে কুৎসা রটানো হচ্ছে। মমতার আরও অভিযোগ, তার ভাই এবং ভ্রাতৃবধূকে প্রলোভন দেখিয়ে দলে টানতে চেয়েছিল বিজেপি। ভেঙে দিতে চেয়েছিল তার পরিবার। সোমবার বিধানসভায় মমতা বলেন, ‘ছেলেমেয়েরা বড় হলে সংসার বড় হয়। আমরা ছয় ভাই-বোন। কোভিডে আমার এক ভাই এবং আরেক ভাইয়ের স্ত্রী মারা গেছে। আমরা এখন তিন ভাই, দুই বোন। সংসার বড় হয়েছে। আমি আমার মতো থাকি। ভাইফোঁটা বা অন্য পারিবারিক অনুষ্ঠানে শুধু আমার ভাই-বোনেরা নয়, আরও অনেকে আসে। কারণ আমার পরিবার সবার পরিবার। আমার এক ভাই, ভাইয়ের বউকে বিজেপিতে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। অনেক ভয় দেখিয়েছিল। তারা যায়নি। কারণ দিদিকে তারা মায়ের মতো ভালোবাসে। দিদি ধমকায়, চমকায় আবার স্নেহও করে।’ মমতা আরও বলেন, ‘একজনের স্ত্রী সম্পর্কে বলা হচ্ছে, তার সঙ্গে একজনের অবৈধ সম্পর্ক আছে। এটা কি ঠিক? এটা কি কোনো রাজনৈতিক লোকের কাজ। একজন দাঁড়িয়ে বলতে পারে, কালকে সিবিআই আমাকে গ্রেপ্তার করবে। পরশু ইডি ওর বাড়িতে যাবে? রাজ্যপাল এখন হাতের মধ্যে আসছেন। মনে হচ্ছে, তিনি যেন সিবিআইয়ের চেয়ারম্যান, ইডির চেয়ারম্যান।’ মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘বিজেপির তো কোটি কোটি টাকা। সেই টাকা তো ইডি ধরবে না। আপনার বাড়িতে একটা সোনার হার থাকলেও আগে আপনাকে কোর্টে গিয়ে অপমানিত করবে। পরে মামলায় যা বেরোনোর বেরোবে, আগে তো অপমান করে নিই। আগে তো চরিত্রহরণ করি। এটা ওদের (বিজেপি) কাজ।’ সম্প্রতি বালিগঞ্জে ধাবা ব্যবসায়ী মনজিৎ সিং ও তার এক কর্মচারীর বাড়ি থেকে কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট- ইডি। সরকারি সংস্থাটির দাবি, সেই ব্যবসায়ীর কয়লাপাচার কাণ্ডের যোগ রয়েছে। এরপর ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে মমতার একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কলকাতার ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রাতৃবধূর সম্পর্ক নিয়ে বিতর্কিত টুইট করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এসব বিতর্কের মাঝেই দলটির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে মমতা অভিযোগ করলেন, বিজেপি তার পরিবার ভাঙার চেষ্টা করছে।
Discussion about this post