আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়াপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ওপর দেশটির সরকারি বাহিনী হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিচ্ছিন্নবাদীদের লক্ষ্য করে ইউক্রেনের সেনারা পৃথক চারটি হামলা চালায়। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বলেছে, হামলায় কেউ হতাহত হয়েছে কি না, এখনো তারা নিশ্চিত নয়, তবে এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি কতটা গুরুতর, সেটা তাৎক্ষণিক নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এছাড়া অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কো-অপারেশন ইউরোপ (ওএসসিই) এ হামলার ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। পূর্ব ইউক্রেন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ওএসসিই। কিন্তু সংস্থাটি সাম্প্রতিক দিনগুলোয় কিছু পর্যবেক্ষক সেখান থেকে সরিয়ে নিয়েছে। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অভিযোগ, ইউক্রেনের সেনারা তাদের ওপর হামলা করেছে। তবে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, বিদ্রোহীরাই আগে তাদের ওপর হামলা করে। গত আট বছরে পূর্ব ইউক্রেনে অসংখ্যবার এমন হামলার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এই সংঘর্ষের খবর এমন সময়ে এল যখন ইউক্রেনের সীমান্তে রাশিয়ার লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন নিয়ে সেখানে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। উত্তেজনা নিরসনের শর্ত হিসেবে মস্কো বলেছে, ইউক্রেনকে কখনোই ন্যাটোর সদস্য করা যাবে না। রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন চালালে মস্কোর বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। অবশ্য রাশিয়া বরাবর হামলা পরিকল্পনার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিচ্ছিন্নতাবাদী অধ্যুষিত পূর্ব ইউক্রেনের স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্র লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তাদের ওপর এসব হামলার খবর জানায়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মর্টার, গ্রেনেড লাঞ্চার ও মেশিনগান ব্যবহার করে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার চারটি পৃথক স্থানে এসব হামলা করে। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী অস্ত্রবিরতি চুক্তির লঙ্ঘন করেছে। মিনস্ক চুক্তি অনুযায়ী এখান থেকে সেনাদের প্রত্যাহার করার কথা।’
Discussion about this post