চাঁদপুর প্রতিনিধি: বিএনপির সঙ্গে জনগণ না থাকায় কোন দিনও তাদের আন্দোলনের পালে হাওয়া লাগেনি, নির্বাচনের আগে কতটুকু লাগবে তাও বুঝা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চাঁদপুর স্টেডিয়ামে জেলা পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন অপেক্ষা করছে, দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, এই ধারাটি যেন অব্যাহত থাকে। আমরা বিশ্বাস করি জনগণ আগামী ২৪ সালের জানুয়ারি মাসের শুরুর দিকে যে নির্বাচন হবে, সে নির্বাচন সবাই ভোট দিয়ে আবারও শেখ হাসিনাকে নির্বাচত করবার জন্য অপেক্ষা করছে। সে সময়ে যারা হরতাল, সংগ্রাম, আন্দোলনের কথা বলছেন, তারা আসলে এসব কথা দীর্ঘদিন থেকে বলছেন। কিন্তু জনগণ তাদের সাথে না থাকায় তাদের আন্দোলনের পালে কোন দিনও হাওয়া লাগেনি। আর এখন শেষ তিনমাসে কতটুকু লাগবে এটা বুঝা যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি জনগণ ছাড়া আন্দোলন সফল হয় না। জনগণ কিন্তু উন্নয়ন, শান্তি ও সমৃদ্ধি চায়। জনগণ সেই অগ্নি সন্ত্রাসী, ধর্ষণকারী ও হত্যাকারীদের চায় না। যারা ২০০১ সালের পরে বাংলাদেশকে হত্যাপুরীতে পরিণত করেছিল, সেই বাংলাদেশ মানুষ চায় না। সবাই চায় শান্তি ও শৃঙ্খলা। শেখ হাসিনা সেই শান্তি মানুষকে দিতে পেরেছেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সময়ে একটি অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। যেসব সমস্যায় এখনও চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেগুলো সবাই বিশ্বাস করে একমাত্র শেখ হাসিনার পক্ষে সে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। কাজেই আমি সকল রাজনৈতিক দলকেই বলবো হটকারিতা ও নেতিবাচকতার পথকে পরিহার করে তারা যেন নির্বাচনের পথে আসেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহনের মাধ্যমে জনগণ যে সমর্থন দিবেন তা মেনে নিয়ে যেন আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাই। বিএনপির আন্দোলন সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিএনপি অনেক আগ থেকেই আন্দোলন করছেন। উনাদের আন্দোলন ঈদের পরে হয়, কোন বছর ঈদের পরে তা বুঝতে পারি না। এখন এই ঝড়, কোন ঝড় তা জানিনা। তবে যে গতিতেই হউক, যদি কোন ধরণের সহিংশতা ও অরাজকতা করবার চেষ্টা করে, সরকারের যেমন আইন-শৃঙ্খলা এবং জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব রয়েছে। তেমনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে থাকেব যে কোন অপশক্তিকে প্রতিহত করবার জন্য। এ সময় জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকতসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post