স্পোর্টস রিপোর্ট: ফুটবল তাকে সবকিছু দিয়েছে। ইউরোপে রাজ করেছেন, জিতেছেন-জিতিয়েছেন; তবে অধরাই রয়ে গেছে সোনালি ট্রফিটা। কাতার বিশ্বকাপেও শেষ স্বপ্নটা ধরা দেয়নি সি আর সেভেনকে। ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ইতিহাসের রেকর্ড মূল্যে সৌদি আরবের ক্লাব আল নসরে যোগ দিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এই খবরটিও পুরনো হয়ে গেছে সবার কাছে। তবে পর্তুগিজ সুপার স্টার ভক্তদের আক্ষেপ ঘুচিয়ে কবে মাঠে নামতে পারবেন; সেটাই এখন আলোচনার কেন্দ্রতে। আল নাসেরে জার্সিতে মাঠে নামার আগে বাধ সেধেছে সৌদি লিগের আইন। সৌদি লিগের আইনানুযায়ী এক ক্লাবে সর্বোচ্চ আটজন বিদেশি খেলোয়াড় রেজিষ্ট্রেশনের অনুমতি আছে। সেই কোটা আগেই পূর্ণ করে ফেলেছিল আল নাসের। এমন পরিস্থিতিতে ক্লাব সূত্রে নতুন তথ্য হলো; রোনালদোকে দলে নিতে আল নাসের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের স্ট্রাইকার ভিনসেন্ট আবুবকরের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে। আগামী ২২ জানুয়ারি ঘরের মাঠে এত্তিফাকের বিপক্ষে মাঠে নামবে আল নাসের। সেই ম্যাচে দেখা যাবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে। তবে আলোচনার সমাপ্তি এখানে টানা যাচ্ছে না; কারণ ‘অবিবাহিত’ রোনালদোর জন্য সৌদি আরব কী আইন পরিবর্তন করবে? এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যম। এশিয়ার এ দেশে তার সঙ্গে এসেছেন বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজ ও তাদের সন্তান-সন্ততি। আর এতেই শুরু প্রশ্নের; কারণ সৌদির মতো রক্ষণশীল দেশে বিয়ে না করে বান্ধবী-সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন তারকা এই ফুটবলার। সৌদির আইনে লিভ ইন নিষিদ্ধ। মানে; বিয়ের আগে কোনো নারী-পুরুষ একসঙ্গে থাকতে পারবেন না। আর এখানেই আইন ভেঙেছেন রোনালদো-জর্জিনা। তাদের একাধিক সন্তান থাকলেও তারা বিয়ে করেননি। তাই সৌদি আইন অনুসারে লিভ ইন এর ফলে তাদের জেল অথবা জরিমানা হতে পারে। তবে রোনালদোর ক্ষেত্রে কিছুই হচ্ছে না। স্পেনিশ সংবাদমাধ্যম ইএফইকে সৌদি আরবের একজন আইনজীবী জানান, রোনালদো ও জর্জিনার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মনে হচ্ছে না। তবে আপত্তি জানিয়েছে সৌদির জনগণ। বিশ্বের বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম দাবি করছে, সৌদি কর্তৃপক্ষ আইন সংশোধনের কথাই ভাবছে! সৌদির সেই আইনজীবী জানান, বিয়ে না করলে নারী-পুরুষের একসঙ্গে বসবাসে নিষেধাজ্ঞার আইন এখনো বহাল রয়েছে। তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ বিদেশিদের ক্ষেত্রে এখন আর হস্তক্ষেপ করছে না। তবে ভবিষ্যতে কী হবে―তা অনিশ্চিত।
Discussion about this post