বান্দরবান প্রতিনিধি: ভুক্তভোগী পাওরি ম্রোর স্বামী মেনরোং ম্রোর সঙ্গে স্ত্রীর চিকিৎসা বাবদ ইব্রাহীম আলীর ৭০ হাজার টাকা মৌখিক চুক্তি হয়। তার মধ্যে ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে চিকিৎসা করতে থাকেন ইব্রাহীম আলী। তবে প্রায় দুই সপ্তাহের চিকিৎসায় অগ্নিদগ্ধ পাওরি ম্রোর শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি না হয়ে বেশ অবনতি হয়। এসময় সন্দেহ হলে বান্দরবানে ভুয়া চিকিৎসকে মোহাম্মদ ইব্রাহীম আলী (৩৫) কে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে বান্দরবান সদর উপজেলার উজানি পাড়া এলাকার মনোরঞ্জন বড়ুয়ার ভাড়া বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১ জানুয়ারি বান্দরবান রোয়াংছড়ির গ্যালেংগা ইউপির বাসিন্দা পাওরি ম্রো নামে এক নারী আগুন পোহাতে গিয়ে পা থেকে কোমড় পর্যন্ত অগ্নিদগ্ধ হন। তাকে দুইদিন বাসায় রেখে চিকিৎসা করানো হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দা নানোয়াই স্লোর মাধ্যমে ইব্রাহীম আলী সঙ্গে যোগাযোগ করেন পাওরি ম্রোর স্বজনরা। এ অবস্থায় বুধবার (১৮ জানুয়ারি) স্থানীয়দের ইব্রাহীম আলীকে ভুয়া ডাক্তার বলে সন্দেহ হয়। পরে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি কোনো সনদ দেখাতে পারেননি। এ ঘটনায় পাওরি ম্রোর ভাসুর ওয়াই ম্রো বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দেন। পরে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়। অন্যদিকে, পাওরি ম্রোকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করান স্বজনরা। বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শহীদুল ইসলাম বলেন, আটক মোহাম্মদ ইব্রাহীম আলী নিজেকে চিকিৎসক দাবি করলেও কোনো সনদ দেখাতে পারেননি। তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
Discussion about this post