আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পূর্ব সিরিয়ায় ইরানের অভিজাত রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি) এর সঙ্গে সম্পৃক্ত গোষ্ঠীগুলির ব্যবহৃত অবকাঠামো সুবিধাগুলি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি এই দায় স্বীকার করে নিয়েছে দেশটি। খবর আল-জাজিরার। বুধবার এক বিবৃতিতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড বলেছে, সিরিয়ার ‘দেইর আজ জোর’- এ অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দেইর আজ জোর হল একটি কৌশলগত প্রদেশ যা ইরাকের সীমান্তবর্তী এবং তেলক্ষেত্র রয়েছে। সিরিয়া সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সেন্ট্রাল কমান্ড বলেছে, ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি সীমিত করতে এবং হতাহতের ঝুঁকি কমানোর উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত পদক্ষেপস্বরুপ অভিযানগুলি চালানো হয়েছে। তবে সেন্ট্রাল কমান্ডের পক্ষ থেকে লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করা বা হামলায় হতাহতের কোনো পরিসংখ্যান দেওয়া হয়নি। সেন্ট্রাল কমান্ডের মুখপাত্র কর্নেল জো বুকিনো এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আজকের হামলা মার্কিন কর্মীদের রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ছিল। এই হামলাটি ১৫ আগস্ট মার্কিন বাহিনীকে লক্ষ্য করে চালানো হামলার প্রতিক্রিয়া হিসাবে করা হয়েছে। ওই হামলায় ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়ারা মার্কিন বাহিনীর ব্যবহৃত আল-তানফ গ্যারিসনকে লক্ষ্য করে ড্রোন চালিয়েছে বলে অভিযোগ। সেন্ট্রাল কমান্ড সেই সময়ে ‘কেউ হতাহত এবং কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি’ বলে আক্রমণটিকে বর্ণনা করেছে। ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠী এবং সিরিয়ার বাহিনী দেইর আজ জোর এলাকাটি নিয়ন্ত্রণ করে এবং এখানকার পূর্ববর্তী অভিযানে প্রায়ই ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। আইএসআইএল (আইএসআইএস) গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধে মিত্র বাহিনীকে সমর্থন দিয়ে ২০১৫ সালে মার্কিন বাহিনী সিরিয়ায় প্রবেশ করেছিল।
Discussion about this post