ঢাকা: চারটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। ফলে এখন থেকে চীনের বাজারে প্রবেশে বাংলাদেশের ৯৯ শতাংশ পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। রবিবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে এক বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। বৈঠক শেষে চারটি চুক্তি ও সমঝোতা সই করেন উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। চুক্তিগুলো হলো- পিরোজপুরে অষ্টম বাংলাদেশ-চায়না মৈত্রী সেতুর হস্তান্তর সনদ, দুর্যোগ মোকাবিলা সহায়তার জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি সমঝোতা স্মারকের নবায়ন, ২০২২-২৭ মেয়াদে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা সমঝোতা স্মারকের নবায়ন, এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চীনের ফার্স্ট ইনস্টিটিউট অব ওশেনোগ্রাফির মধ্যে মেরিন সায়েন্স নিয়ে সমঝোতা স্মারক। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, চীনের বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধার পরিধি আরও ১ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এটি আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে চীনের কারখানা ও প্রযুক্তি স্থানান্তরে সহায়তা করবেন বলে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে দ্রুত চালুর বিষয়ে বাংলাদেশকে যথেষ্ট ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। রোহিঙ্গা সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানে চীন অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবে জানিয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, চীন বলেছে, সে দেশের অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ দূর করার চেষ্টা করছে। সেটা শুধু বাংলাদেশ নয়, অনেকেরই সমস্যা হচ্ছ। আলোচনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীনের বিনিয়োগ বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। বাণিজ্য বৈষম্য দূর করাটা আলোচনায় একটি বড় ইস্যু ছিল।
Discussion about this post