ঢাকা: বর্তমানে বাংলাদেশের এক টাকা পাকিস্তানের ১ দশমিক ৯৮ রুপির সমান। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) কারেন্সি এক্সচেঞ্জের এক সাইটে প্রাপ্ত তথ্য এমনটি বলছে। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের টাকার মান যেভাবে বেড়েছে, তার বিপরীতে দর হারিয়েছে পাকিস্তানের রুপি। গত দশ বছরে টাকার মান পাকিস্তানি রুপির তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১২ সালে ফেব্রুয়ারিতে এক টাকায় পাওয়া যেতো ১ দশমিক ০৭ রুপি। ২০১৭ সালের নভেম্বরে তা দাঁড়ায় ১ দশমিক ২৫ রুপিতে। এরপর ২০২০ সালের আগস্টে ১ টাকার বিপরীতে ১ দশমিক ৯৭ রুপি পাওয়া যেত। মাঝে রুপি কিছুটা শক্তিশালী হওয়ায় চলতি বছরের মে মাসে ১ দশমিক ৭৯ রুপিতে বিনিময় হতো ১ টাকা। তবে তারপর থেকে আবারও দর হারানোয় ১ টাকায় বর্তমানে বিনিময় মূল্য দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৯৮ রুপি। এ ধারা অব্যাহত থাকলে শিগগিরই ১ টাকায় ২ রুপি মিলবে সে কথা বলাই যায়।এক্স ই নামের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বর্তমানে গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৭ আর পাকিস্তানের ৪ দশমিক ১ শতাংশ। বর্তমানে ১ ডলার কিনতে পাকিস্তানের স্থানীয় মুদ্রা ১৬৯ রুপি লাগছে।সেখানে ১ ডলার কিনতে বাংলাদেশে লাগছে মাত্র ৮৫ থেকে সাড়ে ৮৫ টাকার মতো। ২০১১ সালের নভেম্বরেও পাকিস্তানি ৮৬-৮৭ রুপিতে মিলতো ১ মার্কিন ডলার। আর ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৯৮ থেকে ১০৭ রুপিতে পাওয়া যেতো এক ডলার। অন্যদিকে, ২০১১ সালের অক্টোবরে ৭৫ টাকায় পাওয়া যেতো ১ মার্কিন ডলার। যা ২০১২ সালে ৮৪ টাকা ছাড়ালেও পরের ৪ বছর ডলারের দাম ৭৭ থেকে ৭৯ টাকার মধ্যেই ছিল। ২০১৭ থেকে এখন পর্যন্ত ডলারের দাম ৮০ থেকে ৮৬ টাকার মধ্যে ওঠানামা করেছে। সার্বিক বিচারে বাংলাদেশের টাকার মান বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে শক্ত অবস্থানেই আছে। এবং প্রায় এক দশক ধরে অনেকটাই স্থিতিশীলতা ধরে রেখেছে।উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যেও পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে আছে।
Discussion about this post