ঢাকা: ঢাকা সিটি করপোরেশনের বাইরে সারাদেশে এক কোটি পরিবারের মাঝে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে নিত্যপণ্য তুলে দিতে নির্ধারিত সময়সূচি পিছিয়েছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ—টিসিবি। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা টিসিবি আগামী ২০ মার্চ থেকে ঢাকার বাইরে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে নিত্যপণ্য বিতরণ শুরু করবে। মঙ্গলবার টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির এক বিঞ্জপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান। সম্প্রতি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে আসন্ন রোজায় ক্রেতাদের সুলভ মূল্যে পণ্য সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় টিসিবি এই কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। গেল বৃহস্পতিবার টিসিবির জন্য তেল, চিনি, মশুর ডাল ও ছোলা কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এর আওতায় এক কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার ৬৫২ লিটার সয়াবিন তেল, ১৪ হাজার টন চিনি, ১০ হাজার টন ছোলা ও ১৯ হাজার ৫০০ টন মশুর ডাল সংগ্রহ করছে টিসিবি। রোজা উপলক্ষে এক কোটি পরিবারকে স্বল্পমূল্যে পণ্য দেয়ার কাজ ৬ মার্চ ঢাকায় শুরু হয়েছে। ঢাকার বাইরে ১৫ মার্চ থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও পাঁচ দিন পিছিয়ে ২০ মার্চ থেকে সুলভে টিসিবির নিত্যপণ্য বিতরণ শুরু হবে। এই পণ্য বিতরণের আওতায় প্রতিটি পরিবার মাসে দুইবার করে দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি করে চিনি, মসুর ডাল এবং ছোলা কেনার সুযোগ পাবে। ঢাকায় আগের মতো ট্রাকসেল করে এসব পণ্য কেনা যাবে। অন্যদিকে ঢাকার বাইরে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে কেনা যাবে এসব পণ্য। ঢাকার বাইরে জেলা প্রশাসন কার্যালয়, ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ফ্যামিলি কার্ডের লোকবল নির্ধারণ করার কাজ চলছে। এরইমধ্যে এই তালিকা নির্ধারণের কাজ প্রায় শেষের দিকে রয়েছে। তালিকায় নির্ধারিত মানুষের মধ্যে পণ্য বিতরণ করা হবে। টিসিবি জানিয়েছে, রাজধানীতে মোট ১৫০টি ট্রাকসেলে পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। আর ঢাকার বাইরে যেসব পরিবার করোনাকালীন প্রণোদনা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দুই হাজার ৫০০ টাকা পেয়েছেন তারাসহ নিম্নবিত্ত পরিবারকে কার্ড দেওয়া হচ্ছে। টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির ঢাকাটাইমসকে জানিয়েছেন, এই কার্যক্রমের আওতায় চার কোটি লিটার তেল, ৪০ হাজার টন চিনি, ৪০ হাজার টন ডাল এবং ২০ হাজার টন ছোলা দেওয়া হবে। রোজায় নিত্যপণ্য নিয়ে সংকট কাটাতে এরইমধ্যে উপজেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে ফ্যামিলি কার্ড পাওয়ার মতো পরিবারের তালিকা পাঠানো শুরু হয়েছে। পণ্য বিতরণের আগেই তালিকাভুক্তদের হাতে কার্ড পৌঁছে দেওয়া হবে।
Discussion about this post