আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াতে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের অধিবেশনের এক বার্ষিক প্রতিবেদনে আইআইএমএম প্রধান নিকোলাস কৌমজিয়ান এ তথ্য জানান। আইআইএমএম প্রধান জানান, তারা ২০০টিরও বেশি উৎস থেকে পাওয়া প্রায় ৩০ লাখ তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করেছে। এ সংখ্যা আগের বছরের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের তথ্য সরবরাহ করেছে ফেসবুক। ওই সব অ্যাকাউন্টে প্রকৃত পরিচয় গোপন করা হয়েছিল বলে কাউন্সিলকে জানিয়েছেন কৌমজিয়ান। এছাড়া, ২০১৭ সালে হামলার আগে থেকেই রোহিঙ্গা জনগণের বিরুদ্ধে ঘৃণা এবং বৈষম্য ছড়াতে ফেসুবক ব্যবহার করা হয়েছিল বলে দাবি করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা রোহিঙ্গা জনগণের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো বন্ধে কাজ করছে। আর রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতনের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টাকে সমর্থন জানায়। নিকোলাস কৌমজিয়ান বলেন, আইআইএমএম আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে), আন্তর্জাতিক আদালত (আইসিসি) ও অন্যান্য বিচারিক কর্তৃপক্ষকে সরবরাহের জন্য ৬৭টি তথ্য-প্রমাণ ও বিশ্লেষণের প্যাকেজ তৈরি করেছে।
Discussion about this post