ফেনী প্রতিনিধি: ফেনীতে শ্বাসকষ্ট ও খিঁচুনিতে আক্রান্ত শিশুদের ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে। চিকিৎসা নিতে আসা শিশুদের স্বজনদের কণ্ঠে উদ্বেগ। রোগীর চাপে হিমশিম অবস্থা চিকিৎসকদের। ফেনী জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বহির্বিভাগে আসা রোগীর অর্ধেকই ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। অসুস্থ সন্তানকে নিয়ে জরুরি বিভাগের সামনে অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে অভিভাবকদের। হাসপাতালটির শিশু বিভাগের কয়েকজন নার্স জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ২৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এর আগের দিন ছিল ৭৮ জন, মোট ১০৭ জন ভর্তি রয়েছে। অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে শিশু রোগীর সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। এর মধ্যে বেশির ভাগই জ্বর, ঠান্ডা ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। সরেজমিন দেখা যায়, হাসপাতালের ফ্লু কর্নার, শিশু বিভাগে রোগীদের জায়গা হচ্ছে না। কোনো শয্যাই খালি নেই। শয্যার অতিরিক্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বারান্দা ও করিডোরে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, অতিরিক্ত রোগীর চাপে অনেকটা বেসামাল তারা। কারণ, এমনিতেই হাসপাতালটিতে দীর্ঘদিন ধরে ডাক্তার, নার্সসহ বিভিন্ন পদে প্রয়োজনীয় জনবলের সঙ্কট রয়েছে। এক শিশুর অভিভাবক নুর নাহার বলেন, তার ছেলে আদিলের বয়স ২ মাস ২০ দিন। গত ৩ দিন দিন যাবত জ্বর থাকায় হাসপাতালে এনে ভর্তি করেছেন। ডাক্তাররা চিকিৎসা করলেও হাসপাতালে কোনো শয্যা খালি না থাকায় ছোট শিশুটিকে নিয়ে করিডোরের মেঝেতে থাকতে হচ্ছে। অন্যদিকে চিকিৎসা নিতে আসা শিশুদের স্বজনরা হাসপাতালের নানা অনিয়ম আর ভোগান্তির অভিযোগ করে ক্ষোভ জানান। শুধু শিশুরা নয়, মৌসুম পরিবর্তনের কারণে জ্বর-সর্দি, কাশিসহ বিভিন্ন রোগে সব বয়সী মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আসিফ ইকবাল বলেন, ২৬ জনের শিশু ওয়ার্ডে ১০৭ জন রোগী ভর্তি আছে। মৌসুমি জ্বর-কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে শিশুরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। আমাদের হাসপাতালে জনবল সঙ্কট রয়েছে। সীমিত জনবল নিয়েও আমরা সব সময় সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
Discussion about this post