স্পোর্টস ডেস্ক: শেষ মুহূর্তে গিয়েও যেনো কলকাতা টেস্টের রোমাঞ্চ থামছিলো না। ভারতের জিততে তখনো দরকার ৪৭ রান। অন্যদিকে হাতে আছে ৩ উইকেট। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিলো মাত্র ২ উইকেট কারণ চোট পেয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছে ভারতের অধিনায়ক শুভমান গিলকে।আজ রোববার (১৬ নভেম্বর) কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে ভারতের সব ভরসা তখন অক্ষর প্যাটেল, সঙ্গে যশপ্রীত বুমরাহ। এমন পরিস্থিতিতে দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা নিলেন চমকে দেওয়া সিদ্ধান্ত। ডানহাতি ব্যাটার অক্ষরের সামনে তিনি তুলে দিলেন বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজকে। সিদ্ধান্ত নিয়ে ধারাভাষ্যকক্ষেই শুরু হয় বিতর্ক—বাঁহাতির সামনে বাঁহাতি স্পিনার কেন?অক্ষরও যেন সেই সুযোগ কাজে লাগাতে মরিয়া। মহারাজের প্রথম চার বলেই তিনি হাঁকান দুই ছক্কা ও একটি চার। ভারতের ড্রেসিংরুমে তখন নতুন আশার আলো, আর দক্ষিণ আফ্রিকার শিবিরে চাপ। কিন্তু পরের দৃশ্যপট পুরো বদলে দিল এক ঝটকায়।পঞ্চম বলে আবারো ছক্কার চেষ্টা—এবার ‘লোভে পড়ে’ অক্ষর ১৭ বলে ২৬ রান করে ক্যাচ তুললেন বাভুমার হাতে। এর পরের বলেই মহারাজের টার্নে পরাস্ত হয়ে স্লিপে ক্যাচ দিলেন মোহাম্মদ সিরাজ। ভারত গুটিয়ে যায় মাত্র ৯৩ রানে। এর আগে ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ১৫৯ রানে অল আউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ১৮৯ রান করে ৩০ রানের লিড পায় স্বাগতিক ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে টেম্বা বাভুমার লড়াকু ৫৫ রানের ইনিংসে ভর করে ১৫৩ রান করে প্রোটিয়ারা। ভারতের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৪ রানের। কিন্তু হার্মার, মহারাজদের স্পিনে ধরা পড়ে নিজেদের চেনা আঙিনায় একশো রানও করতে পারেনি ভারত। ভারতের মাঠে এর চেয়ে কম রান তাড়ায় হেরে যাওয়ার ঘটনা আছে আর মাত্র একটি। ২০০৪ সালে মুম্বাইয়ে ১০৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ভারতের বিপক্ষে ৯৩ রানেই অলআউট হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।এই জয়ে ১৫ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটাল দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের মাঠে তাদের সবশেষ টেস্ট জয় ছিলো ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ১৫ বছরের বেশি সময় পর পাওয়া এই জয়ে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেলো প্রোটিয়ারা।
























































Discussion about this post