আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাজনৈতিক কূটনীতি আর যুদ্ধ কৌশলের কঠোর আবহের বাইরে গিয়ে এবার নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মুখ খুলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার মস্কোয় আয়োজিত বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি প্রকাশ্যেই স্বীকার করেছেন যে, তিনি বর্তমানে প্রেমে পড়েছেন। তবে প্রেমিকার পরিচয় নিয়ে বরাবরের মতোই রহস্য বজায় রেখেছেন ৭৩ বছর বয়সী এই নেতা।রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের এক সাংবাদিক পুতিনের কাছে জানতে চান তিনি ‘প্রথম দেখায় প্রেমে’ বিশ্বাস করেন কি না। পুতিন ইতিবাচক উত্তর দিলে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়—তিনি নিজে কি প্রেম করছেন? সংক্ষিপ্ত উত্তরে পুতিন বলেন, ‘হ্যাঁ’। তবে এর চেয়ে বেশি কোনো তথ্য বা পরিচয় দিতে তিনি অস্বীকৃতি জানান। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে স্ত্রী লিউদমিলার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর পুতিনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জনসমক্ষে এটিই তার সবচেয়ে বড় স্বীকারোক্তি।পুতিন পরিচয় গোপন রাখলেও রাশিয়ার রাজনৈতিক মহলে দীর্ঘদিন ধরে অলিম্পিক স্বর্ণজয়ী জিমন্যাস্ট আলিনা কাবায়েভার সঙ্গে তার সম্পর্কের গুঞ্জন রয়েছে। ধারণা করা হয়, তাদের সম্পর্ক প্রায় ১৮ বছরের পুরনো এবং তাদের দুটি সন্তানও রয়েছে। তবে ক্রেমলিন বা পুতিন কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেননি।সংবাদ সম্মেলনের গাম্ভীর্য ছাপিয়ে এক পর্যায়ে তৈরি হয় এক রোমান্টিক আবহ। কিরিল বাঝানোভ নামে এক তরুণ সাংবাদিক ‘আমি বিয়ে করতে চাই’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে পুতিনের নজরে আসেন। পুতিন তাকে নিয়ে ঠাট্টা করে বলেন, “তুমি তো রেজিস্ট্রি অফিসে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েই এসেছ!” এই সুযোগে কিরিল সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানেই তার প্রেমিকা ‘ওলেচকা’কে বিয়ের প্রস্তাব দেন। অনুষ্ঠানের শেষ দিকে জানা যায়, তার প্রেমিকা প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন, যা শুনে পুতিনও হাস্যোজ্জ্বল প্রতিক্রিয়া জানান।বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধ ও পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে চরম উত্তেজনার মাঝে নিজের প্রেমের কথা স্বীকার করে পুতিন সম্ভবত নিজের ভাবমূর্তি কিছুটা নরম ও ‘মানবিক’ করার চেষ্টা করেছেন। তবে নিজের ব্যক্তিগত পরিসরে কারো হস্তক্ষেপ যে তিনি পছন্দ করেন না, সেটিও তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
























































Discussion about this post