ঢাকা : চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের মধ্যেও জেলা পর্যায়েই প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু কবে হবে- সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। প্রথমে ১ এপ্রিল পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা বলা হলেও পরে সেটা বাতিল করে বলা হয় ৮ এপ্রিল শুরু হবে। কিন্তু সেটাও পিছিয়ে যায়। আসছে রমজানে পরীক্ষা গ্রহণ নিয়ে জটিলতা থাকায় ঈদের আগে আর পরীক্ষা না নেওয়ার মতো অবস্থাও তৈরি হয়। এরই মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বরাত দিয়ে জানালেন, ২২ এপ্রিল থেকে এই নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হতে পারে। জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের সঙ্গে মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলমের ভার্চুয়ালি এক সভা হয়। সভায় প্রাথমিকভাবে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল বরাত দিয়ে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে ২২ এপ্রিল। জেলা পর্যায়ে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এসব বিষয় এখনও চূড়ান্ত হয়নি।’ জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের কাছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে কেন্দ্রের ধারণ ক্ষমতা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সভায় উপস্থিত একজন জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রের ধারণ ক্ষমতার তথ্য পেলে কয় ধাপে পরীক্ষা হবে সেটি অধিদপ্তর থেকে জানিয়ে দেয়া হবে। সভায় উপজেলা সদর ছাড়া অন্য কোনো কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না বলে জানানো হয়। তবে আমরা জানিয়েছি উপজেলা সদরে একটি জেলার সব পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, চাকরিপ্রত্যাশীদের মতে, জেলা পর্যায়ে পরীক্ষা হলে ব্যাপক দুর্নীতি হবে। জেলা পর্যায়ে না নেওয়ার দাবিতে আন্দোলনও করেছেন তারা। ঢাকায় ডিপিই’র সামনে, জাতীয় প্রেস ক্লাব এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন করেন তারা। সর্বশেষ গত ২৩ মার্চ রাজশাহীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
Discussion about this post