ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আতঙ্ক এখনও কাটেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, এই অবৈধ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। যেকোনো সময় এই সরকারের গদি বালির মধ্যে ডুবে যাবে। সেই কারণে সরকার হাবিবুন নবী খান সোহেল, সাইফুল আলম নীরব, আব্দুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশিদ হাবিবদেরকে আটক করে রেখেছে। ভয় থেকে এই আটক করে রেখেছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিবের মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আতঙ্ক এখনও কাটেনি বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এখনো আতঙ্কিত কেন জানেন? আতঙ্কিত এইজন্য কারণ, তিনি তো জানেন জনগণ তাকে ভোট দেয়নি। দেশের ৯৫ শতাংশ জনগণ তাকে ভোট দেয়নি। আমি আর ডামি আমরা আর মামুদের নির্বাচন হয়েছে। রিজভী বলেন, হাবিবুর রশিদ হাবিব খুবই ভদ্র একজন সাবেক ছাত্রনেতা। রফিকুল আলম মজনু এবং হাবিবুর রশিদ হাবিবকে আমি সেই ছাত্ররাজনীতি করা অবস্থা থেকে চিনি। এদের ঠিকানা আকাশের নিচে আলো বাতাসে খুব কম হয়। এদের ঠিকানা বেশি হয় লাল দেয়ালের মাঝখানে কারাগারে। রাজনৈতিক কারণে বিএনপির নেতাকর্মীরা বন্দি প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, এক- এগারোর সময়ে আপনার বিরুদ্ধেও তো মামলা হয়েছিল। সেই মামলাগুলো গেল কোথায়? যারা স্বৈরাচারী যারা একনায়ক তারা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে কারাগারে ভরে রাখে। ব্যাংক লুট হচ্ছে, ঘরবাড়ি লুট হচ্ছে তাদেরকে আপনি ধরতে পারেন না। যার প্রত্যেকের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা জড়িত। এদেরকে আপনি ধরতে পারেন না। এরা কি ফেরেশতা! আর আপনি গ্রেপ্তার করেন আব্দুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশিদ হাবিবদেরকে। হায় কি বিচিত্র এই দেশ! হায় সেলুকাস! আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ওরা প্রকাশ্যে কোনো কাজ করতে পারে না তলে তলে কাজ করে। দেখবেন মুখে যেটা বলে তলে তলে করে আরেকটা। ইসরায়েলের বিমান কী করে এলো বাংলাদেশের এয়ারপোর্টে? মানুষ বলে শেখ হাসিনার জন্য একবস্তা ভর্তি শুভেচ্ছা বাণী পাঠানো হয়েছে। কি গোপন সম্পর্ক? কি তলে তলে সম্পর্ক প্রধানমন্ত্রী আপনার কাছে জানতে চাই। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, এই প্রচণ্ড রোদের মধ্যে আপনাদের যে আত্মপ্রত্যয় দেখেছি আমি বিশ্বাস করি শেখ হাসিনার (আ.লীগের) পতন হবেই। পৃথিবীতে ভালোর জয় হয় মন্দের পরাজয় হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক আব্দুস সালাম আজাদ,কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব কাজী আবুল বাশার,যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ওমর ফারুক কাওসার প্রমুখ।
Discussion about this post